ইমরান হোসেন,বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || বটিয়াঘাটায় কৃষকের মুখে নেই হাসি,ভারি বর্ষণ ও অতিরিক্ত রোদ্রের তাপদাহে তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। খুলনার শহরতলি উপজেলা বটিয়াঘাটার আবহাওয়া কিছুটা লবনাক্ত হওয়ায় এক সময় কৃষকেরা জমিতে শুধু ধান উৎপাদন করতো।
বর্তমানে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং মৃত্তিকা গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অঞ্চলে লবন সহনশীল বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি, ধান ও বিভিন্ন সুস্বাধু ফল উৎপাদন করছে কৃষকেরা। বর্তমানে খুলনা জেলার চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ ঢেড়স বটিয়াঘাটা থেকে উৎপাদন করা হয়।তারই ধারাবাহিকতা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি বিপ্লবের সাথে পাল্লা দিয়ে এ অঞ্চলে মাচায় তরমুজ একটি জনপ্রিয় এবং লাভবান ব্যবসা হিসেবে কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছে।
এ অঞ্চলের মানুষ যে যে পেশায় কাজ করুক না কেন কৃষি খামারের প্রতি আগ্রহ বেশি। বটিয়াঘাটা উপজেলার ৩ নং গঙ্গরামপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান,স্থানীয় বাজারে এই তরমুজের বিশাল চাহিদা থাকায় এলাকার কৃষকদের মধ্যে এ নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করা হয়। পানি, সার,ঐষধ দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হয়। প্রখর তাপমাত্রা থাকায় গাছ মারা যায়।
প্রতি তরমুজ ৩/৪/৫ কেজি ওজন হলেও তা বিক্রির অযোগ্য বলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।তার উপর সমিতি থেকে লোন,মহাজনের টাকা পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত বছর সাড়ে তিন হাজার হেক্টর বর্তমানে ৩ হাজার হেক্টর জমির তরমুজ নষ্ট হয়েছে।ফলে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের চাষিরা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।