1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র/ছাত্রীদের উপর অতর্কিত হামলা;আহত ৮,আইসিইউতে ২ তেরখাদায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি, আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রেসক্লাব রামপালের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত আলবাব একাডেমির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত শিক্ষকের পরিবারে চাপা আতঙ্ক,ভাংচুর-লুট খুলনায় তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসীদের গডফাদার নুর আজিম ও রিয়াজুল গ্রেফতার রাইটস ফার্স্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিটি মেডিকেলে ভর্তি দীর্ঘ ১’মাস ১৬’দিন কারাভোগ শেষে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা ৬৪’জন ভারতীয় জেলে পাইকগাছায় অসহায় পরিবারের দুটি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত খুলনায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত শ্যামনগরে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় জনসম্পৃক্ততা বিষয়ক কর্মশালা কেশবপুরে ছেলে-মেয়েদের মক্তবে আগমনে উৎসাহিত করতে কম্বল বিতরণ ডুমুরিয়ায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত লোহাগড়ায় ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত নৌবাহিনী পরিচালিত যৌথ অভিযানে ভোলায় বিদেশি শাড়ি জব্দ খুলনায় ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয় ৩ দিনের সফরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এখন খুলনায় কেশবপুরে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন বটিয়াঘাটা মঠের খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে অনিয়ম;জনদুর্ভোগ দেখার কেউ নেই সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার নিষেধাজ্ঞা

কেশবপুরে তিন দিন ধরে চড়ক পূজা জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৩৮ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর, যশোর || কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বুধবার (ইং-১২ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে শুক্রবারে (ইং-১৪ এপ্রিল) চড়ক পূজা শেষ হয়েছে। এটি চৈত্র মাসে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চড়ক সংক্রান্তির মেলা নামে অভিহিত। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বা চৈত্রের শেষ দিনে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা বছরের শুরু হয় পয়লা বৈশাখ থেকে আর বাংলা বছরের শেষ হয় সংক্রান্তির মাধ্যমে।

পয়লা বৈশাখের আগের দিন থাকে চৈত্র সংক্রান্তি। এই দিন হয় চড়ক পুজো বাঙ্গালীদের অন্যতম উৎসব। চড়ক পুজোর ঠিক আগের দিনই থাকে নীল ষষ্ঠী। এ পূজার অন্য নাম নীল পূজা, গম্ভীরা পূজা, শিবের গাজন, হাজরহা পূজা, হরব। প্রত্যেক পূজায় থাকেন নায়েক, পূজারী, বালাদার ও সন্ন্যাস। সাথে থাকে ঢাক-ঢোল-কাঁসি-সহ বাজাদার। লায়েকের নির্দেশনা অনুযায়ী পূজার সকল কাজ হয়ে থাকে। বেল কাস্ট নির্মিত মহাদেবকে চৈত্রমাসের ১৫ দিন, ১১ দিন,৭দিন,৩দিন বা দিনের দিন স্নান করিয়ে সিঁদুর ও সরিষার তেল মাখানো হয়। তারপর লালচি দিয়ে ভালভাবে জড়ানো হয়। পরানো হয় আকন্দ, জবা, বেলী, গন্ধাঁ ফুলের মালা-সহ বেল পাতার তৈরি মালা। লাগানো হয় স্বর্ণের চোখ। তারপর বাড়ী বাড়ী ঘুরে সংগ্রহ করা হয় চাল, তরকারী, ফল, বাতসা আর টাকা।
পূজার সন্ন্যাসীরা চড়ক পূজার কয়েকদিন আগে থেকে কঠোর ব্রত ও সংযম পালন করেন। একজনকে সাজানো হয় হনুমানের মত লম্বা লেজ দিয়ে, তার মাথায় থাকে উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল; স্থানবিশেষে রামায়ণ কাহিনির হনুমানের গন্ধমাদন পর্বত আনার দৃশ্য অভিনীত হয়, একে বলে ‘গিরি সন্ন্যাস’।

চড়কপূজার আগের দিন নীলচণ্ডিকার পূজা হয় (যা মূলত নীলপূজা নামে পরিচিত), এদিন কয়েকজনের একটি দল সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ায়। দলে থাকে একজন শিব ও দু’জন সখী। সখীদের পায়ে থাকে ঘুঙুর। তাদের সঙ্গে থাকে ঢোল-কাঁসরসহ  বাদকদল। সখীরা গান ও বাজনার তালে তালে নাচে। এদেরকে দেল বা নীল পাগলের দল’ও বলা হয়। এরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গাজনের গান গায় এবং নাচ-গান পরিবেশন করে। বিনিময়ে দান হিসেবে যা কিছু পাওয়া যায় তা দিয়ে হয় পূজা। এদিন রাতে ‘হাজরা পূজা’ হয় এবং শিবের উদ্দেশ্যে খিচুড়ি ও শোলমাছ নিবেদিত হয়। মাঝরাতে শিবের আরাধনার সময়ে দু’একজন সন্ন্যাসী প্রবলবেগে মাথা ঘুরিয়ে মন্ত্র বলতে বলতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন; এই অবস্থাকে দেবতার ‘ভর’ বলা হয়। এসময় তারা দর্শকমণ্ডলীর প্রশ্নের যা যা উত্তর দেয় তা অভ্রান্ত বলে সাধারণ বিশ্বাস করেন।

সরেজমিন মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচপোতা দাস পাড়ায় যাক জমক পূর্ণ ভাবে চড়ক পূজা অনুষ্ঠানে লায়েক ছিলেন, সুকুমার দাস। পূজারী ও বালাদার ছিলেন অলোক দাস। সন্ন্যাসী ৫ জন হলেন, বিনোদ দাস, মিঠু দাস, সদয় দাস, দিপু দাস ও সমীর দাস।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পূজার তৃতীয় দিনে খেজুর গাছ গোড়ায় য়েয়ে সেখানে ভোগ,ধূপ, ধুনা দেওয়ার পর মন্ত্র পাঠের সাথে সাথে সন্যাসীরা গাছ তলায় মাথা খোঁড়েন। এর পর প্রধান সন্যাসী খেজুর গাছটিকে শিবের বেড়ী দিয়ে বেড়ী বদ্ধ করে রাখেন। সন্ন্যাসীরা ওই বেড়ীর ফাঁকের ভিতর দিয়ে গাছের মাথায় উঠে খেজুর ভেঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিচে ফেলে দেন। খেজুরের থলি ভেঙ্গে এনে মূল সন্ন্যাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। সকল সন্ন্যাসী অক্ষত অবস্থা ফিরে আসেন। এর পর সকল সন্ন্যাসী উপস্থিত হয়ে নীল ধূল ভাঙ্গার পূজা, চড়ক নিয়ন্ত্রণ, চরক সন্ন্যাস, মাটি দিয়ে হনুমানের জন্ম এবং হনুমান ভাঙ্গা,লিঙ্গ পূজা,চাষবাস ইত্যাদি করা হয়। গাম্ভির ঘরে মহাদেব এবং সকল দেব দেবীর নীল পূজার মাধ্যমে চৈত্র মাসের চড়ক পূজা শেষ হয়।

পাঁচপোতা চড়ক পূজার বালাদার অলোক দাস ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, চড়ক পূজা মূলতঃ গ্রামীণ কৃষি দেবতা শিবের আবাহন। দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি, নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান লাভ, মনের বাসনা পূরণসহ মহাদেবতা শিবের সন্তুষ্টি লাভই এ পূজার উদ্দেশ্য।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।