পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশাের || কেশবপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি গত ৪দিন ধরে যশােরর কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঠিকমত বিদ্যুৎ বিতরণ করতে না পারায় জনজীবন আরও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সূত্র জানায়, গত ৪ দিন কেশবপুর এলাকায় অনুভূত তাপমাত্রা ছিল ৪১ ও ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস জানায়,স্থানীয় বিদ্যৎ অফিস জানায়, কেশবপুর উপজেলায় ৮০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৪ মেগাওয়াট। ফলে রাত দিন ২৪ ঘটার মধ্য মাত্র ৬ ঘটা বিদ্যুৎ পাছে গ্রাহকরা।
কেশবপুর ৮০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে কৃষকের বৈদ্যুতির সেচ সংযােগ রয়েছে ১০৯১টি। এ উপজলায় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় কৃষকরা তাদের বােরাে ক্ষেত ঠিকমত সেচ দিতে পারছেন না। এর ফলে তাদের ধানের ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। যেটুকু সময় বিদ্যুৎ থাকে তাতে সারাদিন মটর চালিয়ে রাখলেও কিয়দাংশ জমিতে সেচ দেয়া যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে এ উপজলায় বােরাে ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও বিদ্যুতের অতিরিক্ত লােডশেডিং ও গত কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ থাকার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। দিন ও রাত চাহিদা মত বিদ্যুৎ না পেয়ে একটু প্রশান্তির আশায় মানুষজন ঘর বাড়ি ছেড়ে গাছতলায়সহ বিভিন স্থানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ইফতারি ও তারাবির নামাজের সময়ও বিদ্যুতের লােডশেডিং থাকছে। এতে মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষােভ দেখা দিয়েছে। বর্তমান কেশবপুর দিন-রাত মিলে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রাহকরা জানান।
এদিক অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও ঠিকতম বিদ্যুৎ না থাকার কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদেশী গরু ও পল্ট্রি মুরগীর খামার চাষীরা তাদের গরু ও মুরগী বাঁচিয়ে রাখতে দোড়ঝাপ শুরু করেছেন। তাদের খামার সব সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য বৈদ্যুতির পাখা ব্যবহার করে থাকেন। কি লােডশেডিংয়ের ফলে খামারের গরু ও পল্ট্রি মুরগী হিডস্ট্রােকের আশংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে খামারীরা জানান। এছাড়া তাপ দাহের কারণে এলাকার পুকুর ও মৎস্য ঘেরের পানি অতিরিক্ত গরম হয়ে মাছ মরে ভেসে উঠছে বলে মৎস্য চাষীরা জানান। এর ফলে লােকসানের আশংকা করছেন মৎস্য ও খামার ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে, খুলনার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্প্রতি বসে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অতি দ্রুত বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায় ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দেন।
কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম শাহীন বলেন, খুলনার রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি সম্প্রতি বসে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়া যাচ্ছে। অতি দ্রুত বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।