খুলনার খবর ডেস্ক || পুদিনা পাতা খুবই পরিচিত এক ঔষধি গাছ। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুদিনা পাতার রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতা মিশ্রিত পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে উপকার পাবেন। গরমের সময় খুশকির সমস্যা দূর করতে পুদিনা পাতা গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করা যেতে পারে। এছাড়া গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া হলেও পুদিনা পাতা এর বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
তাই যাদের হজমে সমস্যা হয় এবং অরুচিতে ভোগেন তারা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার করতে পারেন। উকুন মারার মহৌষধ পুদিনা পাতা। মাথার চুলে উকুন থাকলে উকুন মেরে ফেলতেও কাজ করে।
আপনার বাড়ির ছাদে খুব সহজেই পুদিনা পাতা চাষ করা যায়। নিজের প্ৰয়োজন ব্যাতিত বাজারে বিক্রি করেও ভালো লাভ পেতে পারেন। কারণ, পুদিনা পাতার বাজার চাহিদা প্রায় সারাবছর তুঙ্গে।
মাটি নির্বাচন : প্রায় সব মাটিতেই পুদিনা পাতার চাষ করা যায় তবে দো-আঁশ মাটিতে ভাল হয়। বিভিন্ন ধরণের আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরণের পুদিনার সহনশীলতা রয়েছে।
আবহাওয়া : সাধারণত আর্দ্র আবহাওয়া ও আর্দ্র মাটিতে ভাল জন্মায়। হালকা শেডের নীচে ভাল হলেও পূর্ণ রোদ্রেও জন্মাতে পারে।
টবের মাটি তৈরী : টবে পুদিনা পাতা চাষ করলে অন্তত ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি সাইজের মাটির টব নেওয়া উচিত। এছাড়া এর জন্য বেলে দোঁ-আশ মাটি তৈরি সময় টবের মাটির অর্ধেক পরিমাণ জৈব সার অথবা পচা গোবর বা ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি তৈরি করে দিতে হবে। মাটি রোদে দিয়ে কিছুটা শুকিয়ে গেলে এর উপর পুদিনা পাতার কাটিং একটা একটা করে নির্দিষ্ট দূরত্বে লাগিয়ে দিন কাটিং সংগ্রহ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যদি পুরনো ডালে শিকরসহ কাটিং পাওয়া যায় সেটা সবচেয়ে ভালো হয়। কাটিং এ শিকড় গজানোর জন্য চাইলে আপনি রুটিং হরমোন ব্যবহার করতে পারেন।
রোপন পদ্ধতি : পুদিনা চাষ ২ ভাবে করা হয়। কাটিং করে এবং শিকড় দিয়ে। কাটিং করে করলে বেশি সাফল্য পাওয়া যায়। ডাল ভেজা বা আদ্র মাটি পুতে রাখলেই এ গাছ জন্মে।কাটিং বা তেউড় লাগিয়ে চারা তৈরি করা হয়। পুরনো ক্ষেত থেকে কাটিং নিয়ে হাপরে বসিয়ে চারা তৈরি করে নিতে হবে। কাটিংয়ের দৈর্ঘ্য হবে ১০ সেন্টিমিটার। জমিতে চারা রোপণের সপ্তাহখানেক আগে চারা তৈরি করতে হবে। বেডে ৩০ সেন্টিমিটার পরপর চারা রোপণ করা যেতে পারে।
চারা রোপণের পর সেচ দিতে হবে। প্রতি ২ মাস পরপর প্রতি বর্গমিটারে ২০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি ২ বার কাটার পর একই নিয়মে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার দেওয়ার পর সেচ দিতে হবে। বাণিজ্যিক জমিতে চারা রোপণের ১০-১২ সপ্তাহ পর থেকে প্রতি মাসে ১ বার করে প্রতি বর্গমিটারে ২০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করে যেতে হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।