খুলনার খবর || খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরের কথিত ঠিকাদার ফরহাদ হোসেন বাবু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মূলক ভাবে অর্থ আত্মসাৎ এবং জোর পূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ব্যাংক হিসাবের চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভূক্তভোগী এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক বাদী হয়ে আজ রোববার(৪জুন) যশোরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী কেশবপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজারের একজন কাঠ ব্যবসায়ী। অপরদিকে ১নং আসামী কেশবপুর থানার পাথরা গ্রামের ফরহাদ হোসেন বাবু চুকনগর বাজারে খুলনা জেলা পরিষদের জায়গায় নির্মিত ৭৫টি দোকান ঘর নির্মাণের ঠিকাদার হইতেছেন।যে কারণে বাদী বিগত ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে ওই দোকান ঘরের মধ্যে থেকে একটি ঘর বরাদ্ধ পাইয়ে দিতে আসামী বাবু কে সরল বিশ্বাসে নগত ১০ লাখ টাকা সালামী দেন। কিন্ত এক মাসের বেশী সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাবু দোকান ঘর বরাদ্ধ পাইয়ে না দিয়ে নানাবিধ টাল বাহানা শুরু করে এবং টাকা আত্মসাৎ করে।টাকা ফেরত চাইতে গেলে বাবু ও তার সহযোগীরা বারিক কে নানাবিধ হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে আব্দুল বারিক গত এপ্রিল মাসে বাবু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেশবপুর থানার এস.আই রবিউল ইসলাম গত ২ জুন তারিখ বিকেল ৫ টার দিকে আসামী বাবু ও তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে থানার কমলাপুর গ্রামস্থ বিউটি বেগমের বাড়ীতে বাদী বারিক কে কৌশলে ডেকে আনে। সেখানে তাকে আটকিয়ে বাদীর শাশুড়ি ময়না বেগমকে খবর দেয়। এক পর্যায়ে ময়না বেগম সেখানে হাজির হলে তাকে ও বারিক কে হত্যার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে ৫টি নন জুডিসিয়াল ১০০/- টাকা মূল্যমানের ব্লান্ক স্ট্যাম্পে সাক্ষর এবং বাদীর শাশুড়ী ময়না বেগমকে দিয়ে তার নামীয় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, চুকনগর বাজার শাখার একটি হিসাবের চেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করাইয়া বাদী ও তার শাশুড়িকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আব্দুল বারিক বাদী হয়ে ফরহাদ হোসেন বাবু কে প্রধান আসামী এবং আব্দুল কাদের,মোফয়াজ্জেম হোসেন,মাহাবুর মোল্যা,শ.ম কামাল হোসেন ও দীপ্তিমান বাপ্পি রায় কে আসামী করে আদলতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. শেখ তাজুল হোসেন তাজ জানান,বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে পিআইবি পুলিশ সুপার যশোর জোন কে নির্দেশ দিয়েছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।