শেখ নাসির উদ্দিন,খুলনা || নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ই মুখ্য। কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বারবার একটি নিরপেক্ষ জায়গায় পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন নিয়োগ দিচ্ছেন৷ যারা ইনিয়েবিনিয়ে জাতিকে ধোকা দিয়ে বারবার প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে চলছে। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল-এর নেতৃত্বাধীন কমিশন অতীতের সব নির্লিপ্ততা পিছনে ফেলে ইতোমধ্যে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের পরিচিয় দিচ্ছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি অংশহিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা আয়োজিত শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাণ্ডজ্ঞানহীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ও খুলনা বরিশালে অনুষ্ঠিতব্য ডিজিটাল প্রহসনের নির্বাচন ও বিসিসি মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুন ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩টা নগরীর বায়তুন নুর মসজিদ উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ” তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?” শায়েখে চরমোনাইকে নিয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বের সাথে চরম বেমানান। এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইতোমধ্যে সিইসি’র এমন বক্তব্যেকে সচেতনমহল পাগলের প্রলাপ বলে অবিহিত করেছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সিইসিকে পদত্যাগ করার আহবান জানান। অন্যথায় দেশের জনগণ ব্যর্থ ও অযোগ্য সিইসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগ বিগত সময়ে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সকল অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে যার বাস্তব প্রমাণ খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন। হাজার হাজার বহিরাগত এনে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচনের পরিবেশকে ব্যাহত করেছে।দেশের গণমানুষের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও বিসিসি মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। এসব সন্ত্রাসীদের যদি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। বাংলাদেশের আদর্শিক রাজনীতি চর্চায় হুমকি হিসেবে কাজ করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসের সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি বন্ধ করার জোর দাবি করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান এর সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হুসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নগর সহ সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মোঃ আবু গালিব, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মাওঃ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওঃ মাহবুবুর রহমান, মুফতী আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা আব্বাস আমীন, মোঃ হুমায়ুন কবির, মুফতী আমিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ নিজাম উদ্দিন মল্লিক, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মুফতী ইলিয়াস মাঞ্জুরী, আলহাজ্ব শফিউল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মোঃ শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতী মইনুল ইসলাম, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মোস্তফা বাঙালি, শ্রমিক নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, ইব্রাহিম ইসলাম খান, যুবনেতা মুফতী আবদুর রহমান মিয়াজী, মাওলানা ফজলুল হক, মোঃ আব্দুর রশিদ, নাজমুল খালিদ সাইফুল্লাহ্, ছাত্রনেতা আবু রায়হান,মোঃ মইন উদ্দিন, মাহাদী হাসান মুন্না, নাঈম ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।