পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান কনক কুমার দাসের লাইসেন্স দুর্নীতির দায়ে এক বছরের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে। কেশবপুর পৌর এলাকার সাবদিয়া গ্রামের মৃত আদিল সরদারের ছেলে টিপু ওই ইলেকট্রিশিয়ানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (কেশবপুর) এর জেনারেল ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এসএম শাহীন আহসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মৃত বিভূতী ভূষণ দাসের ছেলে কনক কুমার দাস যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের একজন লাইসেন্সধারী ইলেকট্রিশিয়ান। তিনি এসএসসি পাশ না করেও অবৈবধভাবে লাইসেন্স প্রাপ্ত হন বলে জানা যায়। তিনি সংযোগের নামে ডিজিএম, এজিএম কম ও ইঞ্জিনিয়রের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। দীর্ঘদিন ঘুরানোর পরও তিনি গ্রাহকদের সংযোগ দিতে ব্যর্থ হন। টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তিনি গ্রাহকদের কোন কোন সময় মারপিট করে থাকেন। এছাড়াও তিনি গ্রাহকদের কাছে নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েও থাকেন। এতে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ও কেশবপুর জোনাল অফিসের ভাবমূর্তী চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়। তিনি গৌরীঘোনা ইউনিয়নের সন্ন্যাসগাছা গ্রামের মশিয়ার রহমানের চার এসপেন লাইন নির্মাণ করে দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে অবৈধভাবে সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করেন। যার কোন তথ্যই কেশবপুর জোনাল অফিসে নেই। তিনি পৌর এলাকার সাবদিয়া গ্রামের টিপুর সেচ সংযোগ দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তাকে ২ বছর ঘুরানোর পরও সংযোগ দিতে ব্যর্থ হন। গত ২৭ মার্চ এই টাকা ফেরৎ চাওয়ায় কেশবপুর জোনাল অফিসের ভেতরে তিনি টিপুকে মারপিট করেন। যে কারণে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী টিপু অভিযোগটি করেন। কর্তৃপক্ষ তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে সত্যতা মেলায় আণ্ডার মেট্রিক কনক কুমার দাসের লাইসেন্স এক বছরের জন্যে স্থগিত করা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এস এম শাহীন আহসান বলেন, ভ্ক্তুভোগীদের লিখিত অভিযোগ কেশবপুর ও মনিরামপুর অফিস পৃথকভাবে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। যে কারণে ১৮ জুন থেকে পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত কনক কুমার দাসের ইলেক্ট্রিশিয়ানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর জোনাল অফিসের ৩ নং এরিয়া পরিচালক সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল কেশবপুর জোনাল অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত করা। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে কোন উৎকোচ লাগে না। অফিসের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ইলেকট্রিশিয়ান কনক কুমার দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।