নিউজডেস্ক || নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিম পাতার মধ্যে অনেক ঔষধি গুণ আছে৷ আয়ুর্বেদের মধ্যেও নিম পাতাকে অনেকগুলি অসুখ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ডায়াবেটিক এবং স্কিন ডিজিজ থেকে সুবিধা দেওয়া হয় নিমকে উপযুক্ত মানা যায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিমপাতা ভীষণ উপকারী৷
ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবেন৷ এর ফলে শরীরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এর ফলে অন্য অনেক জটিলতা থেকে মুক্তি সম্ভব৷
আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের মতে নিম পাতায় রয়েছে বহু ওষুধের গুণাবলী, যা আমাদের ব্লাড শুগার লেভেল কম করতে সাহায্য করে।
এখন প্রশ্ন নিমপাতা কীভাবে খাবেন?
সাধারণ খাবারের পর নিমের রস পান করতে পারেন৷এ ছাড়া নিম পাতা ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সাহায্য করে, সুস্থ লোকেরাও নিয়মিত নিম পাতা খেতে পারেন৷
নিমপাতার ঔষধিগুন কি?
নিম পাতা কুষ্ঠ, চোখের রোগ, রক্তাক্ত নাক, কৃমি, পেট খারাপ, খিদে কমে যাওয়া, ত্বকের আলসার, হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীর রোগ, জ্বর, ডায়াবিটিস, মাড়ির সমস্যা এবং লিভারের সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
নিম গাছের ছাল ম্যালেরিয়া,পেট এবং অন্ত্রের আলসার, চর্মরোগ, ব্যথা এবং জ্বর নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।নিম ফুল পিত্ত কমাতে, কফ নিয়ন্ত্রণে এবং অন্ত্রের কৃমির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।নিম ফল অর্শ্বরোগ,কৃমি,মূত্রনালীর রোগ,রক্তাক্ত নাক, কফ, চোখের রোগ, ডায়াবেটিকস, ক্ষত এবং কুষ্ঠ রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
টুথব্রাশের বদলে কেউ কেউ নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজেন। তবে এই অভ্যাস সবসময় ভাল নয়। নিমের ডালগুলি অনেক সময় ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়।কুষ্ঠ এবং অন্ত্রের কৃমির সমস্যা নিরাময়ে নিমের বীজ ও তার তেল ব্যবহৃত হয়।
নির্দিষ্ট পরিমাণে নিমের ব্যবহার প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নিরাপদ।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিমের সেবন কিডনি ও লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।