খুলনার খবর || খুলনায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য জাহিদ হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার শহরের ফুলতলার বুড়িয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি নিজের নাম ও পরিচয় পরিবর্তন করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফুলতলার বেজেরডাঙ্গা বসবাস করতেন। হত্যা মামলার পর তাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর জাহিদ ভারত, চিটাগাং, ঢাকা ও খুলনায় পালিয়ে বেড়ান।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) জানায়, জাহিদ খানজাহান আলী থানার পাড়িয়ারডাঙ্গা এলাকার কাওসার মোল্লার ছেলে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান। ঢাকা সেনানিবাসের নবম বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন সৈনিক পদে তিনি চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় বিয়ে করেন।
স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ ১০ দিনের ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেন। তিনি আর তার বাহিনীতে ১০ দিনের ছুটি কাটানোর পর যোগদান করেননি।
পরে তিনি পালিয়ে যান। একপর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরবর্তীতে জাহিদ হাসান ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে ফিরে তিনি চিটাগাং, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন।
১২ বছর আগে যশোরের রাজঘাট এলাকার মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমিকে বিবাহ করেন। সর্বশেষ সে খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় বেজেরডাঙ্গা নামক একটি গ্রামে ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার নিজের নামসহ পিতা ও মাতার নাম পরিবর্তন করেন। শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করে এবং নিজের বেশভূষণের কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করার জন্য মুখে দাঁড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করতে থাকেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।