এস.এম.শামীম (খুলনা) || ঘটনার ১০ দিন পার হলেও খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় কাউকে শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো সংস্থা।
যদিও দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন জানান,জড়িতদের শনাক্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতারে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য,খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা কেশবলাল রোডের শেখ শাহজাহানের ভাড়াটিয়া জনৈক গৃহবধূ (২২) গণধর্ষণের শিকার হন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের অধিক দুর্বৃত্ত তাকে সংঘবদ্ধভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
উক্ত গৃহবধূ আতঙ্কে মুখ খুলতে সাহস করেনি। পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে দৌলতপুর থানা ঘটনার ৫ দিন পর গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় এনে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থা এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ভিকটিমের বাসা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তরফদার,কেসিসি ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল মিলন,সহ-সভাপতি কওসার আলী, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স,৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালিদ হোসেন,বিনু ইসলাম,আঃ রহমান, নুর ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন,এ জঘন্য কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তারা যে দলেরই,যে দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকুক এবং যত শক্তিধর গ্রুপের হোক না কেন তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
অপরদিকে এ মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।