খুলনার খবর || কোথাও বড় বড় গর্ত, কোথাও হাটু কাঁদা, আবার তাতে জমে আছে পানি। ওই কাদাপানি,গর্ত ঠেলে সামনে এগোনোই কস্ট।তারপর সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, রিকশা চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
খুলনার জিরোপয়েন্ট মোড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, খুলনা-ফুলতলা মহাসড়ক, খুলনা-রূপসা বাইপাস মহাসড়কের মিলনস্থল হলো এই জিরোপয়েন্ট। বিভিন্ন এলাকা থেকে খুলনা শহরে প্রবেশের প্রধান পথও এটি। পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে এই পথ ব্যবহার করতে হয় পরিবহনগুলোকে। প্রধান এই মোড় দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা।
গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে সড়ক নির্মাণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। পুরো কংক্রিটের ঢালাই করে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক।এই কাজ হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে, এ কারণে সড়কের বড় একটি অংশ বন্ধ থাকছে। এর আগেও ওই এলাকার অবস্থা খুবই নাজুক ছিল।কিন্তু কাজ করতে গিয়ে এলাকাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,জিরোপয়েন্টের সড়কের বেহাল দশা।খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়কজুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।রাস্তাটি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে যায় রাতের আধারে।রাতে কোথায় গর্ত কিংবা কতটুকু কাদা কিছুই দেখার উপায় থাকেনা।ফলে দুর্ঘটনার ভয় থেকেই যায়।
স্থানীয় ভ্যান চালক রহমান জানান,গত শুক্রবার বড়বাজার থেকে চাউল বোঝাই করে ভ্যান নিয়ে আসার সময় জিরোপয়েন্ট মোড়ে কাদায় পিছলে ভ্যান সহ উল্টে চালের ক্ষতি হয়।কয়েক বস্তা চাল নস্ট হয়ে যায়।এবং ভ্যানের এক্সেল ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয় দোকান মালিক জানান,প্রতি নিয়ত এখানে কোন না কোন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।নারী-শিশুরা হেটে এই স্থান পার হতে গিয়ে পিছলে পড়ে কাপড় নস্ট করে ফেলছে।এমনকি সাইকেল নিয়ে চলতে গিয়েও পড়ছে চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা জানান,খাদে পড়ে ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে কাদাপানিতে মাখামাখি হচ্ছেন আরোহীরা। মাঝেমধ্যে ভারী যানবাহন গর্তে আটকে যাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এটি এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
সাতক্ষীরার দিকে চলে যাওয়া সড়কের এক পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে ইট ও সুরকি ফেলে কোনো রকমে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সকালের বৃষ্টিতে তাতে পানি আটকে আছে। সড়কের পাশে রয়েছে কাদা। উত্তরে ফুলতলার দিকে চলে আসা সড়কে প্রায় ৪/৫ ইঞ্চির মতো পুরু কাদায় ভরা সড়কটি। একই অবস্থা খুলনা নগরের দিকে আসা সড়ক ও রূপসা সেতুর দিকে চলে যাওয়া সড়কেরও।
ওই সড়ক দিয়ে বিভিন্ন রুটের বাসচালকেরা জানান, ‘জায়গাটি এতটাই খারাপ অবস্থা হয়েছে যে যাত্রীরা পার হয়ে গাড়িতে উঠবেন সে অবস্থা নেই। যাত্রীদের যে নামিয়ে দেব, তেমন শুকনা জায়গাও নেই। বেশির ভাগ সময় যাত্রীরা ওই কাদাপানি মাড়িয়ে গাড়িতে ওঠেন। সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই। একটু বর্ষা হলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় এলাকাটি। আবার যখন শুকিয়ে যায়, তখন ভরে যায় ধুলায়।
স্থানীয়রা সড়কটির দ্রুত সংস্কার করে চরম এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির আহবান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।