সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || হিন্দু ধর্মের স্বর্পদেবী মা মনসা পূজার মধ্যদিয়ে প্রতিবছর বাংলা সনের ভাদ্র মাসের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় সাতক্ষীরার ২০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহি গুড়পুকুরের মেলা। এবছরও সব ধর্মের শ্রেণী পেশার মানুষের পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মেলা প্রাঙ্গণ।প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে।
২০০২ সালে মেলার সার্কাস প্যান্ডেল ও রক্সি সিনেমা হলে বোমা হামলার পর মেলাটি এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সাল থেকে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ফের চালু হয় মেলাটি।
২০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে ঐতিহ্যবাহি সাতক্ষীরার গুড় পুকুরের মেলা। এবছরও মেলা প্রাঙ্গন রাজ্জাক পার্কে পরসা সাজিয়ে বসেছে তিন শতাধিক স্টল।একসময় ঐতিহ্যের এ মেলায় দেখা যেতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ, বেত দিয়ে তৈরী আসবাবপত্র, কাঠের ফার্নিচার ও কুটির শিল্পের বিভিন্ন পন্য। কিন্তু এগুলো এখনের মেলায় না থাকায় অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।
ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ মেলায় নিন্ম মানের থ্রি-পিচ, বাচ্চাদের খেলনা এবং গহনার ইমেটেশন ও প্লাস্টি সামগ্রীতে ছয়লাব। মানহীন পণ্য আর চড়া দামের কারনে ক্রেতা সাধারণ ফিরে যাচ্ছে।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান,মেলার বাইরের মার্কেটে যে সকল পণ্যের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা। সেই একই পন্য মেলায় দাম চাচ্ছে তিন থেকে চারগুন চড়া মূল্যে।এছাড়া মেলায় এবার মানহীন পন্যে ছয়লাভ। যে কারনে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
পাশাপাশি স্টল মালিকরা বলছে, ৮ থেকে ১০ ফুট আয়োতনের এক একটি দোকানের ফ্লোরে বিছানো ইট ভাড়া,দোকান ভাড়া,কারেন্ট বিল তার পরে আবার দোকানের উপরের ছাউনি ভাড়া সব মিলিয়ে প্রতিটি দোকানভেদে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে।বেচা বিক্রি হোক আর না হোক মেলার আয়োজক কমিটিকে টাকা গুনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। লোকসান ঠেকাতে যে কারনে একটু চড়াদামে পন্য বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে শিশুদের বিনোদনের জন্য মেলায় রয়েছে, ট্রেন, নাগরদোলা-হানি সুইং,ইলেকট্রনিক ভাসমান নৌকাসহ বিভিন্ন ধরনের রাইড।
এক সময় পলাশাপোল এলাকার বট তলা থেকে শহরব্যাপী বিস্তিৃতি ছিল গুড় পুকুরের মেলা। কিন্তু এখন রাজ্জাক পার্কে মেলাটি সীমাবদ্ব থাকায় বিপাকে পড়েছে মেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত পার্ক মসজিদসহ মেলা সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসুল্লিসহ মেলার মধ্যেই অবস্থিত কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, গনগ্রন্থ্যগার এছাড়া পাশেই অবস্থিত নবারুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মহিলা কলেজ, মহিলা কলেজের হোস্টেল ও পিএন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষরা।
এ বছর ২২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হওয়া মেলা চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলার মেয়াদ আরও যেন বৃদ্বি না করা হয় সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।