নিউজ ডেস্ক || আজ ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ডাক অধিদপ্তর এ দিবসটি পালন করবে। ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন’। পরবর্তীতে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। এরপর থেকে দেশে প্রতিবছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই পৃথিবীতে ডাক ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়। ‘রয়্যাল মেইল’ নামে প্রথম ডাক বা পোষ্টাল সার্ভিস চালু হয় ১৫১৬ সালে। এটি চালু করেন হেনরি অষ্টম। এরপর ১৬৬০ সালে প্রথম সাধারণ ডাক বা জেনারেল পোষ্ট অফিস চালু করেন চার্লস দ্বিতীয়। ১৮৩৫ সালে রোল্যান্ড হিল আধুনিক পোষ্ট অফিসের ধারণা দিয়ে ‘পোষ্ট অফিস রিফর্ম’ প্রকাশ করেন। ১৮৪০ সালে ব্রিটেনে ‘ইউনিফর্ম পেনি পোস্ট চালু হয় যার মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয় আরো দ্রুততর। ১৮৫০ সালে ব্রিটেনে চালু হয় ‘পেনি ব্ল্যাক’ নামে ডাক বাক্স। মূলত সভ্যতার শুরুতেই মানুষ যোগাযোগের গুরুত্ব উপলদ্ধি করেছিল। সভ্যতার শুরুতে যোগাযোগের জন্য মানুষ নানা উপায় অবলম্বন করতো।
একটা সময় চিঠির খুব প্রচলন থাকলেও বর্তমানে কেবল সরকারি এবং দাপ্তরিক কাজেই চিঠি আদান প্রদান হয়ে থাকে। ডাকের জায়গায় এসে প্রভাব বিস্তার করেছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস। কিন্তু মানুষ কুরিয়ারের চেয়ে ডাকে এখনও আস্থা রাখতে চান। অনেকেই ডাকে চিঠি ও বই ইত্যাদি পার্সেল করেন তবে তা খুব সীমিত। তবে তারা মনে করেন ডাক বিভাগকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জবাবদিহিতার আলোকে সচল রাখতে পারলে তা লাভজনক হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।