শাহাবুদ্দিন মোড়ল,ঝিকরগাছা || যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ি কারি শিক্ষক মোছাঃ মাকছুদা খাতুন বিরুদ্ধে প্রায় ৩বছর ক্লাসে না গিয়েও নিয়মিত সরকারি বেতন ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে।
ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, ইবতেদায়ি কারি শিক্ষক মাকছুদা ২৬/০৪/১৯৯৭ সালে মাদ্রাসাতে যোগদান করার পর বিগত প্রায় ৩ বছর মাদ্রাসায় কোনো ক্লাস নেননি। কখনো ২/৩ মাস পরে আবার কখনো মাসে এক-দু’বার প্রাইভেট কারে করে মাদ্রাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান এবং প্রতিমাসে বেতনের সমুদয় টাকা উত্তোলন করেছেন।
তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সালমা নামের এক মেয়ে। তাকে প্রতি মাসে ৭হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। এবিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও সভাপতি জেনেও অলৌখিক ক্ষমতার নিকট মাথা নত করে কিছু বলেন না।
এ বিষয়টি জানতে সরেজমিনে মাদ্রাসায় গেলে সত্যতা মেলে। অক্টোবর মাসের ৮তারিখে মাদ্রাসায় গিয়ে শারিরিক অসুস্থতার কথা বলে বিগত ৯অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নেন। সংবাদকর্মীদের সর্বশেষ ৩দিনের ছুটির আবেদন দেখালেও বিগত ৩বছরের ছুটির কোন আবেদন দেখাতে পারিনি মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
তবে যে ব্যক্তি প্রায় ৩বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানে ঠিকমত উপস্থিত হয় না এবং মাসে এক-দু’বার এসে খাতায় স্বাক্ষর করে যাওয়া ব্যক্তি ইবতেদায়ি কারি শিক্ষক মাকছুদার ছুটির আবেদন কি ভাবে অনুমোদন করে দিলো মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহুরুল হক। ১২-১৯ অক্টোবর তারিখেও তিনি মাদ্রাসাতে উপস্থিত ছিলেন না ও তার হাজিরা খাতায়ও স্বাক্ষর নাই।
মাদ্রাসার ইবতেদায়ি কারি শিক্ষক মোছাঃ মাকছুদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। ৩বছর ক্লাস করনি সেটা অস্বিকার করে বলেন, আমার মাদ্রাসায় একটা বড় ফ্যান আছে। আমি মাদ্রাসাতে গেলে সেই ফ্যানের নিচে বসে থাকি। আমার পরিবর্তে সালমাকে দিয়ে ক্লাস করানো হয়। তাকে সামান্য কিছু টাকা দেওয়া হয়।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহুরুল হক বলেন, ৩বছর যাবৎ মাদ্রাসায় ক্লাস নেয় না। তার পরিবর্তে আর একজন শিক্ষক দিয়েছেন। গত ৮অক্টোবর তিনি মাদ্রাসায় এসেছিলেন এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে গেছেন।
মাদ্রাসার সভাপতি ও আর.এম রিসালাহ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস.এম মশকুর আলম বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার আগের থেকে মাকছুদা অসুস্থ হওয়ার কারণে নিয়মিত মাদ্রাসাতে আসে না ও ক্লাস নিতে পারে না। তার পরিবর্তে আর একজন তার ক্লাস গুলো নেন। আমার প্রতিষ্ঠানের ক্লাস গুলো ঠিক ভাবে হলেই হল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন মিয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি তাকে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) অফিসে আসতে বলেছি। কিন্তু তিনি অফিসে আসেনি। আমি ভারপ্রাপ্ত সুপারকে বলেছি সে কি করতে চাই সেটা শুনে আমাকে আগামী সপ্তাহে জানান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।