1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নিরালা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি ফিরোজ, সম্পাদক সবুর কালিগঞ্জে বিএনপির সংগঠনিক সভায় কি বললেন পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি দিঘলিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়লকে অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবি মানববন্ধন  শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম খান ধর্ষণের বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে খুলনা জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা মিছিল কেশবপুরে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৫ জন গ্রেফতার কালিগঞ্জে পলিথিনের বিকল্প নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার -২০২৪ এর সম্মাননা প্রদান পায়ে শিকল পরিয়ে ইটভাটা শ্রমিককে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২ শ্যামনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন কালিগঞ্জ চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা খুলনায় তারুণ্যের ক্রীড়া উৎসবে – পুলিশ কমিশনার খুলনা মহানগর বিএনপির “সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০২৫ “এর সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বসতবাড়ির ১৭ শতাংশ জমি দখলে, তিন সন্তান নিয়ে অসহায় দিনযাপন কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছনার পর হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল পাইকগাছায় ওলামালীগ নেতা অধ্যক্ষে’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও কক্ষে তালা ৫ দফা দাবিতে খুমেক হাসপাতালে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি রূপসা নদীতে হাবিব ফ্রোজেন ফুডের নিজস্ব বোট ডুবি, ১৩ যাত্রী উদ্ধার

গ্রীষ্মের বিদায় আসছে শীত, রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪০৪ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা প্রতিনিধি || গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে শীত আসছে।শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ তোলার কাজ।সারা দেশের ন্যায় তাই যেন দক্ষিণ জনপদের পাইকগাছা এলাকার গাছিরাও বসে নেই,তারা প্রতিটি মুহূর্ত রস সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন।

পাইকগাছা এলাকা বর্তমানে মাছে সমৃদ্ধশালী।ফসলী জমির সিংহভাগ এখন মাছ চাষীদের দখলে।এক সময় এলাকায় লক্ষ লক্ষ খেজুর গাছ থাকলেও আজ তার সংখ্যা অনেকটা কম,তার পরেও যে একেবারে কম তা ঠিক নয়।যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিচর্যা করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা।যারা গাছ কাটে তাদের বলা হয় গাছি।খেজুর গাছের অগ্রভাগের একটি নির্দিষ্ট অংশ চিরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট কলসি (ভাড়/ঠিলে) বাঁধা হয়।ফোঁটায় ফোঁটায় রসে পূর্ণ হয় সে কলসি।তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে গাছ তোলা কাটাসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা।ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই তোলা কাটা করতে হয়। কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে গাছ তোলার কাজ করতে হয়।খেজুর গাছের চাহিদাটা ইট ভাটায় বেশী ও ফসলী জমির একটা মোটাংশ লীজ ঘের হওয়ায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কম।তাই যেন খেজুর গাছে বিলুপ্তির সুর বাজছে। তাই আগের মতো মাঠও নেই,নেই সারি সারি এই খেজুর গাছও। তারপরও গ্রামের মাঠে আর গ্রাম্য মেঠো পথের ধারে কতক গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়,আমাদের গ্রাম বাংলায় অতীতে খেজুর রসের যে সুখ্যাতি ছিল তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।খেজুরের রস শীতের সকালে বসে মুড়ি মিশিয়ে গ্লাস ভরে খেতে বেশ মজা লাগে।সন্ধ্যা রস আরো মজাদার।বেশ লোভণীয় নলেন পাটালি ও গুড়।খেজুর গুড় বাঙালীর সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।ক’দিন পরেই প্রতিটি ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা পুলি পায়েস তৈরীর ধূম পড়বে।ঢেঁকি ঘরে চাল কুটার ধুম পড়ে যাবে,শোনা যাবে ঢেকির ঢক ঢক শব্দ।মুড়ি,চিড়া,পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার বাছে বেশ প্রিয়।এসব আশা নিয়ে শীত মৌসুমে গাছ কাটার কাজে গাছিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার হয়।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুজিরুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর।

পাইকগাছার বক্স গাছি জানান,শীত আসা মাত্রই আমরা খেজুর গাছ ছিলানোর জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগেই আছি।পাঁচ মাস খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে বেশ আর্থিক সচ্ছলতা আসে আমাদের।খেজুর গাছ তোলার মৌসুম এলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করে যে অর্থ পায় তা দিয়ে চলে পুরো বছর। এখনো শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা গাছ কাটার জন্য দা তৈরী, ঠুঙি,দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়/ঠিলে) কেনার কাজ সেরে নিচ্ছেন।আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই।এরপরও গাছিরা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।