অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ||
বাগেরহাটের ৪’টি আসনে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও অন্য দল থেকে ৫৯ জন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশা নিয়ে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৯ জন, বিএনপির ২২ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ৪ জন এবং জামায়াতে ইসলামীর ২ জন (স্বতন্ত্র হিসেবে) মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রয় প্রক্রিয়া শেষ হলেও অন্য দলের মনোনয়ন বিক্রয় চলছে বেশ জোরে সোরেই। দলীয় মনোনয়ন কেনা ও চূড়ান্তভাবে দলের প্রার্থী মনোনিত হতে বাগেরহাট জেলা ও উপজেলার অসংখ্য নেতারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন বর্ষীয়ান ও প্রবীণ বেশ কয়েকজন নেতা। এছাড়াও দেশবরেন্য অনেক তরুণ আলোচিত নেতাও প্রাথী হতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এবার। শেষ মুহূর্তে কে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনিত হয়ে আসেন সেই দিকেই যেন নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা প্রবল আগ্রহের পাশাপাশি রয়েছেন উৎকন্ঠিত।

বাগেরহাট ১ আসন (চিতলমারী- ফকিরহাট – মোল্লাহাট): চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট ১ আসন থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বর্তমান এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন।

বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন কিনেছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, চিতলমারী উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের নেত্রী রুনা গাজী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মজ্ঞুর মোর্শেদ স্বপন, বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, রবিউল ইসলাম, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপি নেতা শরিফুল কারিম কামাল, আহসান হাবিব ঠান্ডা।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন আল জুবায়ের। ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলন থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. লিয়াকত আলী।

বাগেরহাট-২ আসন (বাগেরহাট সদর – কচুয়া): বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট -২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন শেখ হেলাল উদ্দিনের একমাত্র ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বর্তমান এমপি মীর শওকত আলী বাদশা, ফরিদা আক্তার বানু লুসি, মীর জেনিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ বশিরুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, কচুয়া আওয়ামী লীগ নেতা বক্কর শিকদার, হাসিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান মিঠু।

বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, যুবদল নেতা সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন। এছাড়া ইসলামী শাষনতন্ত্র আন্দোলন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জেলা সহসভাপতি মাস্টার ইদ্রিস আলী মৃধা।

বাগেরহাট-৩ আসন (রামপাল-মোংলা): রামপাল ও মোংলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট- ৩ আসন গঠিত। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী বর্তমান এমপি হাবিবুন নাহার তালুকদার, চিত্র নায়ক শাকিল খান, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান, শেখ মো. আবু হানিফ, ইকবাল লতিফ হাসান, ইব্রাহিম হোসেন, সুনিল কমার বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম বিথি ও ইদ্রিস ইজারাদার।

বিএনপির পক্ষে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. লায়ন ফরিদুল ইসলাম, শামিম রহমান ও মোংলা পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী।

এই আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষে মাওলানা মো. শাহজালাল সিরাজী দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন।

বাগেরহাট -৪’ আসন (শরণখোলা – মোরেলগঞ্জ): এই আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বর্ষিয়ান নেতা বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দীঘদিনের সভাপতি বর্তমান এমপি ডা. মোজ্জাম্মেল হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, পুলিশের সাবেক এআইজিপি অধ্যাপক আব্দুর রহিম খান, অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন হালদার, এম আর জামিল হোসাইন, কামাল উদ্দিন আকন, এম এমদাদুল হক, এইচ এম রানা।

এই আসনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির নেতা খায়রুজ্জামান শিপন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ড. ওবায়দুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফারজানা নিপা, ড. কাজী মনিরুজ্জামান, শরিফ মোস্তাফা জামাল লিটু ও মনিরুল এক ফরাজী।

জাতীয় পার্টির পক্ষে মনোনয়ন কিনেছেন কেন্দ্রীয় নেতা সোমনাথ দে। জামায়াত নেতা বাগেরহাট কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আলীম স্বতন্দ্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মাওলানা আব্দুল মজিদ।