1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের মহোৎসব, ২৮’কেজি হরিণের মাংস’সহ আটক – ১। খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিকদের জন্য টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়রা উপজেলার জনসংযোগ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা গহীন সুন্দরবন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার সংসদ নির্বাচন অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে: আমান বিশেষ কল্যাণ সভা ও হাইওয়ে ট্রাফিক(খুলনা) ব্যবস্থপনা সভা” খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকের মৃত্যু খুলনার শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন পাইকগাছায় মিষ্টি পানি’র পক্ষের পাল্টা মানববন্ধন  দিঘলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন  পাইকগাছা মসজিদে ইফতারী প্রদানকে  কেন্দ্র করে মারপিটে নারীসহ আহত – ৩ নওগাঁ মান্দায় কৃষক লীগ নেতা হাবিবুরের দঃশাসন এখনো শেষ হয়নি কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সদর থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের ওরিয়েন্টেশন সভা ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি না ফেরার দেশে – (খুলনার খবর) শোক কেশবপুরের গৌরীঘোনা প্রেসক্লাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত খুলনার রুপসা নদীতে সুন্দরবন হতে চোরাইকৃত গেওয়া ও গড়ান কাঠ সহ ১০ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড নগরীর বয়রা এলাকায় নৌ-বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান সুন্দরবনের শিবসা নদী থেকে হরিণের মাংস সহ আটক ৫

কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে জমজ সন্তানদের হত্যা করলো পাষণ্ড মা

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬০ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুরে স্বামীর পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে সুলতানা ইয়াসমিন (২৭) নামের এক পাষন্ড মা ১৩ দিনের জমজ ছেলে-মেয়েকে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাষণ্ড মা। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পৌর শহরের সাহাপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ডোবা থেকে জমজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করাসহ ঘাতক মাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ এপ্রিল -২১ ইং তারিখে কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়া সংলগ্ন এলাকার আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে সুলতানা ইয়াসমিনের সাথে আবু বক্কর সিদ্দিকের বিয়ে হয়। তারা দুইজনই পূর্বেই বিবাহিত ছিলো। সুলতানা ইয়াসমিনের প্রথম স্বামীর অহনা ইয়াসমিন (১১) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর সুলতানা বুঝতে পারে তার স্বামী আবু বক্কর অন্য নারীতে আসক্ত। সেজন্য স্বামীকে সুপথে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করে সুলতানা। যার কিছুদিন পর সুলতানা গর্ভে সন্তান আসে। সুলতানার গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় স্বামী আবু বক্কার আরো বেপরোয়া জীবন-যাপন শুরু করে। তবুও সুলতানা তার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ট হলে স্বামীর স্বভাব চরিত্র পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করে। দীর্ঘদিন গর্ভ ধারণের পর গত ১০ নভেম্বর রাতে কেশবপুর পৌর শহরের মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুলতানার জমজ ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে জমজ শিশুদের শারীরিক জটিতলা দেখা দিলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান। সেখানে চার দিন চিকিৎসার পর বাচ্চাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পুত্র সন্তানটির জন্মের পর হতে ফুসফুস, রক্তসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলে কেশবপুর হোসেন প্যাথোলজিতে ডাক্তার কামরুজ্জামানের অধিনে চিকিৎসা করায়। কিন্তু সুস্থ্য না হওয়ায় গত ২১ নভেম্বর পুত্র সন্তানটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় পুনরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে ২১ নভেম্বর দিবাগত রাতে পুত্র সন্তানটি নিস্তেজ হয়ে যায়। ওইসময় সুলতানা মৃতপ্রায় (নিস্তেজ) পুত্র সন্তানটিকে বাড়ির পাশের ডোবায় নিক্ষেপ করে। এরপর ঘরে ফিরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং কন্যা সন্তানটিকেও সকলের অগোচরে একই ডোবায় জীবন্ত নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে সুলতানা ঘরে ফিরে বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে মিথ্যা কাহিনীর সৃজন করে। পরিবারের সকল সদস্যরা বাচ্চা দুটিকে খোঁজা খুঁজি করতে থাকে। ওইসময় সুলতানার পিতা আব্দুল লতিফ বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না বলে ফোন করে থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খোঁজা খুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে ডোবা থেকে প্রথমে পুত্র সন্তানটির মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং অপর নিখোঁজ কন্যা বাচ্চাটিকে খুঁজতে থাকেন। পরবর্তীতে কন্যা সন্তানটির মৃত অবস্থায় একই ডোবা হতে উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে সুলতানা ইয়াসমিনসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা তার পুত্র সন্তানসহ জীবিত কন্যা সন্তানটিকে সকলের অগচরে ডোবায় নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন।তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রতিয়মান হয় যে,সুলতানা ইয়াসমিন স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজ সন্তানদের ডোবায় নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে।

যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশন) বেলাল হোসাইন বুধবার দুপুরে কেশবপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।