1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
লোহাগড়ায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত সাত বিষয়ে অকৃতকার্য নড়াইলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা শেখ সাধনের মৃত্যুতে লোহাগড়ায় শোকের ছায়া কেশবপুরের জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনার খালিশপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক মোল্লাহাটে মহান বিজয় দিবসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে লোহাগড়ায় আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় নতুন বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার কেসিসি প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি বিএনপির পাইকগাছায় ঘূর্নিঝড় দানা’র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২’শ প্রান্তিক খামারিকে গোঁ খাদ্য খাদ্য বিতরণ কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতির সমাবেশ অনুষ্ঠিত খুলনায় রাজধানী টিভির তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত খুলনায় সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ১৪নং ওয়ার্ডের পরিচিতি সভা ও ওয়ার্ড কার্যালয় উদ্বোধন খুলনায় জেলা ইজতেমা শুরু ৫ ডিসেম্বর ফকিরহাটে টমেটো চাষ পরিদর্শনে ইফাদ প্রতিনিধি দল

কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে জমজ সন্তানদের হত্যা করলো পাষণ্ড মা

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩২ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুরে স্বামীর পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে সুলতানা ইয়াসমিন (২৭) নামের এক পাষন্ড মা ১৩ দিনের জমজ ছেলে-মেয়েকে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাষণ্ড মা। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পৌর শহরের সাহাপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ডোবা থেকে জমজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করাসহ ঘাতক মাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ এপ্রিল -২১ ইং তারিখে কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়া সংলগ্ন এলাকার আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে সুলতানা ইয়াসমিনের সাথে আবু বক্কর সিদ্দিকের বিয়ে হয়। তারা দুইজনই পূর্বেই বিবাহিত ছিলো। সুলতানা ইয়াসমিনের প্রথম স্বামীর অহনা ইয়াসমিন (১১) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর সুলতানা বুঝতে পারে তার স্বামী আবু বক্কর অন্য নারীতে আসক্ত। সেজন্য স্বামীকে সুপথে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করে সুলতানা। যার কিছুদিন পর সুলতানা গর্ভে সন্তান আসে। সুলতানার গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় স্বামী আবু বক্কার আরো বেপরোয়া জীবন-যাপন শুরু করে। তবুও সুলতানা তার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ট হলে স্বামীর স্বভাব চরিত্র পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করে। দীর্ঘদিন গর্ভ ধারণের পর গত ১০ নভেম্বর রাতে কেশবপুর পৌর শহরের মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুলতানার জমজ ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে জমজ শিশুদের শারীরিক জটিতলা দেখা দিলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান। সেখানে চার দিন চিকিৎসার পর বাচ্চাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পুত্র সন্তানটির জন্মের পর হতে ফুসফুস, রক্তসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলে কেশবপুর হোসেন প্যাথোলজিতে ডাক্তার কামরুজ্জামানের অধিনে চিকিৎসা করায়। কিন্তু সুস্থ্য না হওয়ায় গত ২১ নভেম্বর পুত্র সন্তানটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় পুনরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে ২১ নভেম্বর দিবাগত রাতে পুত্র সন্তানটি নিস্তেজ হয়ে যায়। ওইসময় সুলতানা মৃতপ্রায় (নিস্তেজ) পুত্র সন্তানটিকে বাড়ির পাশের ডোবায় নিক্ষেপ করে। এরপর ঘরে ফিরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং কন্যা সন্তানটিকেও সকলের অগোচরে একই ডোবায় জীবন্ত নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে সুলতানা ঘরে ফিরে বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে মিথ্যা কাহিনীর সৃজন করে। পরিবারের সকল সদস্যরা বাচ্চা দুটিকে খোঁজা খুঁজি করতে থাকে। ওইসময় সুলতানার পিতা আব্দুল লতিফ বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না বলে ফোন করে থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খোঁজা খুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে ডোবা থেকে প্রথমে পুত্র সন্তানটির মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং অপর নিখোঁজ কন্যা বাচ্চাটিকে খুঁজতে থাকেন। পরবর্তীতে কন্যা সন্তানটির মৃত অবস্থায় একই ডোবা হতে উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে সুলতানা ইয়াসমিনসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা তার পুত্র সন্তানসহ জীবিত কন্যা সন্তানটিকে সকলের অগচরে ডোবায় নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন।তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রতিয়মান হয় যে,সুলতানা ইয়াসমিন স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজ সন্তানদের ডোবায় নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে।

যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপারেশন) বেলাল হোসাইন বুধবার দুপুরে কেশবপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।