খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি || নগরীর দৌলতপুর থানাধিন মহেশ্বরপাশা গোলকধাম এলাকার ভূমিদস্যু সম্রাট কুমার বিষ্ণু(৩০) তার বোন সুমা রানী বিষ্ণু(৩৩) গংয়ের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবৈধভাবে জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল,মাদক ব্যবসা,সন্ত্রাসী কার্যকালপ, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরিহ মানুষকে হয়রানীসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার পুলিশ কমিশিনার এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আইন শৃংখলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় জাহাঙ্গীর হোসেনের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর গতকাল রাতের আধারে পুনরায় সম্রাট ও সুমা রানীগং জমির ঘেরাবেড়া তুলে ফেলে দিয়েছে বলে দাবী জমির মালিক জাহাঙ্গীরের। এদিকে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিরুপায় হয়ে সম্রাট কুমার বিষ্ণু সকলের সামনে নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে মামলার হুমকি দেয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
জানাগেছে,মহেশ্বরপাশা গোলকধাম এলাকার সম্রাট কুমার বিষ্ণু,তার বোন সুমা রাণী বিষ্ণুগং কোন অদৃশ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত ভূমিদখল,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মাদক ব্যবসা,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ও ভুক্তোভোগীরা। এ বিষয়ে তারা একাধিকবার পুলিশ কমিশিনার এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। অজ্ঞাতকারণে ভুক্তোভোগিরা প্রতিকার না পেলেও গত ১৩ ডিসেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেসিসি ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহাদাৎ হোসেন মিনা’র সহযোগিতায় এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে অবশেষে জাহাঙ্গীর হোসেনকে ভূমিদস্যুদের হাতে থেকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ ট্রেডার্সের মালিক সালাম হোসেন জানায়, আমার কাছে চাঁদা দাবী করে আমি না দেওয়ায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমার ৩টি কাঁচা দোকান জোরপূর্বক ভেঙ্গে নিয়ে যায়। যার ফলে আমার প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমি বহুবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি শুধুই আমাকে সময় ক্ষেপন করিয়েছে। তিনি বলেন দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পর আমি দোকান খুলতে পেরে খুশি ধন্যবাদ জানাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনীকে।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সম্রাট বিষ্ণু ও সুমা রানী বিষ্ণু অবৈধভাবে একাধিক জমি দখল করে রাখে। জমির প্রকৃত মালিক তাদের জামির কাগজপত্র এবং কোর্টের যাবতিয় রায়ের কাগজপত্র জামা দিয়ে আমার কাউন্সিলরে লিখিত আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্রাট ও সুমা রাণী বিষ্ণুকে তাদের কাগজপত্র দেখাতে নোটিশ করা হয়। কিন্তু তারা জমির কোন কাগজপত্র বা প্রমাণাদি দেখাতে ব্যর্থ হয়।পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই হুমাউনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় জমির প্রকৃত মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সালামকে দোকান খুলতে বলা হয়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন,সম্রাট ও সুমা রানী কোন উপায় না পেয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সম্রাট নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে ।
কাউন্সিলর বলেন,এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা বা গন্ডগোল হয়নাই। তারা মামলা হামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানী করার চেষ্ঠা করছে।এদিকে প্রকৃত মালিকদের কাছে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর গতকাল রাতে জমি থেকে ঘেরাবেড়া তুলে ফেলে দিয়েছে সম্্রাট ও সুমা রানী ও তাদের বাহিনী এমটাই অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সম্রাট বিষ্ণু ও সুমা রানী বিষ্ণু বলেন,যারা জমি ক্রয় করেছে তখন তাদেরকে বলা হয়েছিল আপনি জমি কিনলে দখলে যেতে পারবেন না। তারপরও তারা জমি ক্রয় করে বহিরাগত দের নিয়ে জোর করে জমি দখল করার চেষ্টা করে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।