এম.কে.জামান সুমন,ঢাকা || জনগণের সাথে সম্পৃক্তহীন আওয়ামীলীগের একদলীয় নির্বাচনী ট্রেন পুরো দেশকে নিয়ে খুব শীঘ্রই লাইনচ্যুত হবে। দূর্নীতিবাজ,লুটেরা ও কতিপয় দালাল ছাড়া এই নির্বাচনী ট্রেনে অন্যকোন যাত্রী নাই,তাই এই নির্বাচন দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে না নিয়ে বাকশালের অন্ধকার গর্তে নিয়ে ফেলবে বলে মনেকরে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।
আজ বিকেল তিনটায় রাজধানীর বিজয় নগরস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া “প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ পদযাত্রা’য় এসব কথা বলেন এবি পার্টির নেতারা। পদযাত্রা বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল ও যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান।
মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন,বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে পদদলিত করে একটি প্রহসনের নির্বাচন করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। জনগণের সাথে সম্পৃক্তহীন আওয়ামীলীগের একদলীয় নির্বাচনী ট্রেন পুরো দেশকে নিয়ে খুব শীঘ্রই লাইনচ্যুত হবে। দূর্নীতিবাজ, লুটেরা ও কতিপয় দালাল ছাড়া এই নির্বাচনী ট্রেনে অন্যকোন যাত্রী নাই, তাই এই নির্বাচন দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে না নিয়ে বাকশালের অন্ধকার গর্তে নিয়ে ফেলবে। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আহবান জানাই আপনারা এই নাটকের নির্বাচন বর্জন করুন। কেউ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এই অবৈধ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বাজারে গিয়ে নিজের পছন্দসই সওদা কিনতে আমরা যাচাই বাছাই করি এবং পছন্দমত মাছ, গোশত, ডিম ইত্যাদি কিনি। কোন দোকানদার আমাদেরকে তার পছন্দসই জিনিস কিনতে বাধ্য করেনা। যদি সেরকম কেউ করে বা করতে চায় আমরা সে দোকান থেকে মালপত্র কিনি না। কারণ সেখানে আমার নিজের পছন্দ করার কোন অধিকার নাই। এবারের নির্বাচনে স্বৈরাচারী সরকার আমাদের পছন্দমত ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা গণভবনে বসে ঠিক করছেন কে নৌকায়, কে লাঙ্গলে আর কে মশাল আর ঈগল নিয়ে নির্বাচন করবে। নৌকা, লাঙ্গল, মশাল, ঈগল, বাস আর একতারা সবই হাসিনার লোক। তিনি এই নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন উল্লেখ করে তা বর্জনের আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ২০০৪ সালের ৪ঠা জুন শাহবাগের হোটেল শেরাটনের সামনে বিআরটিসি’র দোতলা বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ১১ জন যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১/১১’র সময়ে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বীকার করেছেন যে যুবলীগের নানক, মীর্যা আজমদের হুকুমে গান পাউডার ঢেলে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় বাসটি, শুধুমাত্র পরের দিনের হরতালের সমর্থনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফিল্ডের ৫জুন হোটেল শেরাটনে থাকবার কথা ছিল। ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধীপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগেরই আছে। ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ড আর ট্রেনে আগুন লাগিয়ে নিরপরাধ মানুষকে খুনের ঘটনা তাই আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।
পদযাত্রা থেকে এবি পার্টির নেতা-কর্মীরা কী কী কারণে এই নির্বাচনকে তারা প্রহসন ও খেল-তামাশার নির্বাচন মনে করেন তা উল্লেখ করে জনগণকে নির্বাচন বর্জনের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। রাস্তার দু’পাশে সাধারণ জনগণ তাদের আহ্বান ও উদ্বুদ্ধকরণে সাড়া দিয়ে সমর্থন জানান।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, এম আমজাদ খান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান ব্যাপারী, সেলিম খান, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, আমানুল্লাহ খান রাসেল, রিপন মাহমুদ, আব্দুর রব জামিল, এনামুল হক, মশিউর রহমান মিলু যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ প্রমূখ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।