আল-হুদা মালী,শ্যামনগর প্রতিনিধি || সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলের সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি কুয়াশার মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা বাতাস লক্ষ করা যায়। সপ্তাহ জুড়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন কিছুটা নাজুক থাকলেও বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় ঠান্ডা মৃদু বাতাস সাথে বৃষ্টির কারণে শৈতপ্রভাব শুরু হয়েছে। শৈতপ্রবাবের কারনেই মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ৯নং সোরা গ্রামের বেলাত চৌকিদার (৮০) বছরের বৃদ্ধ বলেন,শীত যে হারে লাগছে টিকে থাকা দায়,তার উপর ঠান্ডা বাতাস বয়স হয়েছে অনেক কষ্টে আছি। অনেক শীত কলা গাছের শুকনা পাতা নিয়ে নদীর পাড়ে বসে আগুন পোহাচ্ছি।
গাবুরা ৯নং সোরা গ্রামের ৮৫ বছরের বৃদ্ধা আছিরন এর সাথে কথা হয় তিনি বলেন, খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। ‘বাবা, ঠান্ডাতে জান বাইর হয়া যাওছে। গরম কাপড় নাই, শীত এলে আমার খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা থাকে বাঁচতে আগুন পোহার জন্য আসলাম। এখানে আসেও জাগা পাচ্ছি না। সবাই ঠেলাঠেলি করে আগুন ঘিরি ধরি আছি।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন,আমাদের উপজেলার মোট কম্বল বরাদ্দ আছে সাড়ে পাঁচ হাজারে মত ইউনিয়ন ভিত্তিক চারশত করে,মুক্তিযোদ্ধাদের ২৫০টা,প্রতিবন্ধদের ৩০টা,আশ্রায়ণদের ৩০টা এছাড়া কিছু ছিন্নমূল দুস্থদের এখান থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া শীতের তিব্রতা বাড়ার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া শহ শ্বাসকষ্ট জানিত রুগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় উপজেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।