সাগর কুমার বাড়ই,খুলনা || জীবন যাত্রা আর পরিবর্তনের ছোঁয়ায় মান্ধাতার আমলের ঐতিহ্য হাতে ভাঁজা দেশি মুড়ি গ্রামীণ জনপদ থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে।যান্ত্রিক ব্যবস্থার জাঁতাকলে আর কালের বিবর্তনে হাতে ভাজা মুড়ি শিল্প আজ আর গ্রামের পল্লী-প্রান্তরে দেখা যায় না।
মাহে রমজানে মুড়ি ছাড়া ইফতার যেন অকল্পনীয়।বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে নানান খাবারের সঙ্গে এখনো ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে মুড়ির কদর।হাতে ভাঁজা মুড়ির স্থান দখল করে নিয়েছে কারখানার মেশিনের তৈরি মুড়ি।
কালের পরিক্রমায় আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু কারখানায় মুড়ি উৎপাদিত হওয়ায় হারিয়ে গেছে সুস্বাদু হাতে ভাঁজা দেশি মুড়ি।শুধু তা-ই নয়, দেশের বড় বড় নামীদামি কোম্পানি গুলোতে ও মুড়ি তৈরি করে শহর থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছোটখাটো দোকান গুলোতে পৌঁছে দিচ্ছে।ফলে গ্রাম বাংলার এই শিল্প আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে।
হাতে ভাঁজা মুড়ি আমাদের গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য।এটা এক ধরনের শিল্প। কিন্তু আমাদের এই পুরোনো ঐতিহ্য আর শিল্পটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।তবে হাতে ভাঁজা মুড়ির সঙ্গে বর্তমানে কারখানায় তৈরি বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট মুড়ির তুলনা চলে না। স্বাদে গন্ধে হাতে ভাঁজা মুড়ি সত্যি অতুলনীয়।বিশেষ করে মুসলিম ধর্মীয় পর্বে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পূজা পার্বনের আগেই গ্রামের প্রতিটি পরিবারে দেখা যেত হাতে ভাঁজা দেশীয় মুড়ি তৈরির চিত্র।যার স্বাদ গন্ধ ছিল অতুলনীয়।
আজ বিভিন্ন কলকারখানা তৈরি করা হচ্ছে মুড়ি ভাঁজার প্রতিযোগিতা।মুড়ি সাদা করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ইউরিয়া সার।হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হাতে ভাঁজা দেশীয় মুড়ি।অদুর ভবিষ্যত হয়তো আর দেখা যাবে না গ্রামীণ জনপদের হাতে ভাঁজা দেশীয় মুড়ি তৈরির চিত্র।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।