পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুরে চাঁদাবাজির ঘটনায় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় জাহিদ হাসান টুটুল (২৮) ও সোহান হোসেন (২৮) নামে দুই আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যরা পলাতক রয়েছে। যার মামলা নম্বর- ৫,তারিখ- ০৮/০৩/২০২৪।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে কেশবপুর উপজেলার কায়েমখোলা গ্রামের আতোষ গাজীর ছেলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী মোঃ বাচ্চু রহমানকে মোবাইলের মাধ্যমে একটি মেয়ে ফোন করে কেশবপুর আলিয়া মাদ্রাসার পাশে আসার জন্য অনুরোধ করে। অজ্ঞাত ওই মেয়ের বয়স ২২ বছর হবে। এরপূর্বে ওই মেয়েটি বাচ্চুর সাথে কয়েকদিন কথা বলেছে বলে জানা যায়। এরপর তাকে কেশবপুর পৌর সভার ৩ নং ওয়াডের্র সাবদিয়া এলাকার হাজী ইসমাইল সড়কের মোঃ জিল্লুর রহমানের বসতবাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে আটক করে রেখে তার কাছে থাকা একটি মোবাইল,১৪ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন নিয়ে তার কাছে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, আলতাপোল এলাকার মৃত মোশারফ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদ হোসেন,আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ সোহান, বায়সা গ্রামের জাহিদের ছেলে মোঃ সামি,মাহবুরের ছেলে ইমরান,হাকিমের ছেলে শাহিন, কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের মিলনসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন। এসময় চাঁদার টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করলে আসামীরা বাচ্চুকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে মোঃ বাচ্চু জানায় তাকে নিয়ে মণিরামপুরে তার মহাজনের কাছে গেলে দাবীকৃত চাঁদার টাকা নিয়ে দেবে।
এসময় কাউন্সিলর কবির হোসেন একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে ওই গাড়িতে ভাংড়ি ব্যবসায়ী বাচ্চু, জাহিদ ও সোহানকে টাকা আনার জন্য পাঠায়। বাচ্চুর মহাজনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাইলে তার মহাজন বাচ্চুকে জানায় তার কাছে ১ লাখ টাকা আছে তা দিতে পারবেন। এসময় তার কাছ থেকে আল আরাফা ব্যাংকের ১ লাখ টাকার একটি চেক নিয়ে তারা মণিরামপুর শাখা (ব্যাংক) থেকে ওই টাকা উত্তোলন করার পর চাঁদাবাজদের কথামত, ০১৯০৪-৬৮৪২৭৯ মোবাইল নম্বর থেকে, ০১৯৪৩-৭৯৩৯৯০ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা, ০১৭৬৫-৪৪৪২৩২ নম্বর থেকে ০১৭৩৯-১৩৩৩৫১ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা এবং নগত ৫০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর বাচ্চুকে নিয়ে আবার তারা ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। পরবর্তিতে কাউন্সিলর কবিরসহ আসামীরা এই ঘটনা কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। ভাংড়ি ব্যবসায়ী বাচ্চু ৭ মার্চ রাতে এব্যাপারে কেশবপুর থানায় ৭ জনসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ করে। থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনার প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ার ৮ মার্চ আসামীদের বিরুদ্ধে ওই মামলা রেকর্ড করে। এরপর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী জাহিদ হাসান টুটুল (২৮) ও সোহান হোসেন (২৮) নামে দুই আসামীকে আটক করেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল আলম বলেন, ভাংড়ি ব্যবসায়ী বাচ্চুর কাছ থেকে চাঁদাবাজীর ঘটনায় কাউন্সিলর কবিরসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।