মোঃ রফিকুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি || যশোরের শার্শা উপজেলার বাজারগুলোতে আলুর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যখনি দেশের বাজারে কোন পন্যের দাম বাড়ে ও চড়া দামে বিক্রি হয়।তখনি সরকারি ও বেসরকারী ভাবে
পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পন্য আমদানি করা হয়, ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে।
বিশেষ করে এই রমজানে আলুর চাহিদা মেটাতে গত ৪ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়। অথচ তার কোন প্রভাব পড়েনি বাজারগুলোতে। বরং আমদানির পরে আলুর দাম আরও বেড়েছে।
শার্শা উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা যায়,কাচা বাজারে আলুর আড়তে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। প্রতি আড়তে বস্তার পর বস্তা আলু সারি বদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে। আড়ৎ মহাজনদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,আমরা যে ভাবে ক্রয় করি সে ভাবে পাইকারি বিক্রি করি,এতে আমাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য বা কারসাজি নেই।
উপজেলার বড় ৩টি বাজার বেনাপোল,
নাভারন, বাগআচড়াতে কেজি প্রতি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রমজানের আগে এই আলু কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরুর প্রথম দিকে দাম বেড়ে ৩০টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল রমজানের সপ্তাহ খানেক পর ৩৫টাকা দরে চলছিল,রমজানের ২১ রমজানে সেই আলুর দাম বেড়ে এখন ৪০টাকা। উপজেলা সদর বাজারের চাইতে গ্রামঞ্চলের বাজার গুলোতে আরও বেশি দামে প্রতিটি পন্য বিক্রি হয়ে থাকে।
রমজানে ক্রেতা সাধারণের আলুর চাহিদা মেটাতে ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে.রমজান মাস জুড়ে দেশের বাজারগুলোতে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে এবং রোজা শুরুতে ভারত থেকে চার চালানে ১ হাজার মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়।১৩ই মার্চ ২০০ টন, পরেরদিন ১৪ই মার্চ ২০০টন, ১৯মার্চ ৩০০টন এবং সর্বশেষ ২৪শে মার্চ আরও ৩০০ মেট্রিকটন,চার চালানে মোট ১ হাজার মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়।
অথচ আলু আমদানির কোন সুফল ক্রেতারা পায়নি। যখন পন্যের দাম বাড়ে.তখন আমদানির তোড়জোড় শোনা যায়।
ক্রেতা সাধারণের প্রশ্ন দু সপ্তাহের ব্যবধানে ১ হাজার টন আমদানিকৃত আলু কোথায় গেল। আর এই আলু দেশের কোথায় সাপ্লাই হয় আর কারাইবা করে। তা কারোর বোধগম্য নই।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়,ভারতের রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি পেট্রোপোল দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে,আর এই আলুর আমদানির চালান খালাস করে,ট্রান্সমেরিন সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট নামে আরও একটি কোম্পানি।
যে পন্যই হোক না কেন ক্রেতা সাধারণের কথা বিবেচনা করেই তো পন্য আমদানি করা হয়। সে পন্য গুলো নিয়ম মেনে যদি দেশের বড় বড় পাইকারি বাজারে সাপ্লাই করা যেত,তাহলে ক্রেতা সাধারণ এর সুফল পেত। আমদানিকৃত পন্য দেশের ভিতর সরবরাহ কাজে ভোক্তা অধিকার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে দেশের ক্রেতি সাধারণ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।