পরেশ দেবনাথ,মঙ্গলকোট,কেশবপুর || “সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কৃষিকাজ করতে হবে”। নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন হয়েছে। লাভবান হতে হলে সঠিক জাত নির্বাচন করে কৃষককে ফসল উৎপাদন করতে হবে। কোন ফসলের পর কোন ফসল লাগাতে হবে তা কৃষকদের মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। পুষ্টির ছাতা মাসরুম উৎপাদন করে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে হবে।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের গাছতলা মন্দির প্রঙ্গনে কৃষিই সমৃদ্ধি এই বিষয়টিকে সামনে রেখে কেশবপুরের মঙ্গলকোটে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় রবি মৌসুমে বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে যশোর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক দীপক কুমার রায় একথা বলেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কিশোর কুমার দাস-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. প্রশান্ত কুমার তরফদার-এর সভাপতিত্বে এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দীপজয় বিশ্বাস-এর সঞ্চালনায় ঔষধি ফসল উৎপাদন (মাসরুম) -এর উপর আলোচনা করেন, যশোর জেলা অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) প্রতাপ মন্ডল, কৃষিবিদ ড. সুশান্ত কুমার তরফদার, কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ মাহমুদা আক্তার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এলাকা ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ, সাংবাদিক সোহেল পারভেজ, শিক্ষক অরুণ কুমার বিশ্বাস, সার ও কীটনাশক বিক্রেতা বাসুদেব দাস, অগ্নি শেখর মল্লিক- সহ শতাধিক কৃষক।
কর্মকর্তারা বসুন্তিয়া গ্রামের কামনা রাণী মল্লিকের বাড়ীতে নিরাপদ উচ্চমূল্য ঔষধি ফসল উৎপাদন (মাসরুম) প্রদর্শনী দেখেন এবং তাকে আরও উদ্বুদ্ধ করেন। মাসরুম ফসল চাষী কামনা রাণী মল্লিক জানান, আমি কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত নভেম্বর মাসে ওয়েস্টার পিও-২ জাতের ১’শ টি মাদার মাসরুম নিয়ে চাষ শুরু করি এবং দুই কিস্তিতে ২১ কেজি মাসরুম বিক্রি করি। তৃতীয় কিস্তিতে ১’শ টি মাদার মাসরুম ৩-৪ দিনে ফুটে গেছে। তৃতীয় কিস্তিতে তিনি ১০/১২ কেজি মাসরুম পাবেন বলে আশা করেন। এ পর্যন্ত তিনি অসিমা মল্লিক, অঞ্জলি মল্লিক, নিপা সরকার, অঞ্জনা দাস-সহ ১০/১২ জনকে এই চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন বলে জানান।
বক্তারা মাসরুমের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন,ভিটামিন ডি-এর ভাল উৎস, ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর অভাব অনেক রোগের কারণ হয়।সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ, সেলেনিয়াম শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। হার্টের জন্য ভাল। এটা নানাভাবে খাওয়া যায়। মাসরুম বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। সাধারণত রান্না করে, স্যুপ বানিয়ে, নুডলস কিংবা অন্য কোনো তরকারির সাথে মিশিয়ে মাসরুম খাওয়া যায়। এছাড়াও মাসরুমকে আলাদা তেলে ভাজিয়ে মচমচা করে খাওয়া যায়, যা মাসরুম ফ্রাই নামে পরিচিত। এটি বেশ সুস্বাদু ও মজাদার হয়। মাশরুমের একাধিক উপকারিতা রয়েছে।
যাঁরা নিয়মিত ডায়েটের মধ্যে থাকেন, যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের কাছে মাশরুম কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। মাশরুমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। শরীরে ভিটামিন ডি, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এর চাহিদা পূরণ করে মাশরুম। সেই সঙ্গে মাশরুমের মধ্যে কিন্তু ক্যালোরির পরিমাণ একেবারেই কম। থাকে না সোডিয়াম কিংবা কার্বোহাইড্রেট। মাশরুমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের একাধিক উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে ওষুধ তৈরিতেও রয়েছে মাশরুমের ব্যবহার। মাশরুম কিন্তু আমাদের মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।