নড়াইল প্রতিনিধি|| নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা অফিসের কার্য সহকারী মোঃ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,কবির হোসেন পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০৩ সালে লোহাগড়া পৌরসভায় ৮০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময় চাকুরী নেন। সেই থেকে ধীরে ধীরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে অফিস কার্যসহকারি কবির হোসেন। ১৮ বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করায় স্থানীয় জনগণের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই কার্যসহকারি কবির হয়ে উঠেছে পৌরসভার ইন্জিনিয়ার। বিভিন্ন স্থানে কবির নিজেকে ইন্জিনিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে আর্থিক ফায়দা লুটে নেন। গ্রাহকরা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে বাড়ির নকসা জমা দিলে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে অহরহ।
ভুক্তভোগী এক প্রবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কবির নিজেকে পৌরসভার ইন্জিনিয়ার দাবি করেনএবং আমার উপর ক্ষোভের সুরে বলেন,আপনারা কেন অন্য জায়গায় যান। আমি ইঞ্জিনিয়ার আমার কাছে চলে আসবেন সরাসরি। আমি আপনাদের নকশা সহ সবকিছু করে দিব। এরপর আমি অন্য মাধ্যমে কবিরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পরবর্তীতে বাড়ির নকশা পাস করি। অপর এক ভুক্তভোগী লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী গ্রামের রিফাত বলেন,আমি আমার বাড়ির নকশা তৈরির জন্য পৌরসভায় যায়। পৌরসভার কার্যসহকারি কবির হোসেন নিজেকে পৌর ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে বলেন কাগজপত্র দিয়ে যান আমি নকশা পাস করিয়ে দিবো।
নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক আরো একজন ভুক্তভোগী বলেন, পৌরসভার মধ্যে একটি রাস্তার জন্য কবির হোসেনকে বিভিন্ন মেয়াদে ৪৭ হাজার টাকা দেয়ার পরেও আমার কাজটি করে দেননি এবং দীর্ঘদিন ঘুরিয়েছেন। পরবর্তীতে আমি পৌর মেয়র সহ সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করি। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পরবর্তীতে কবির আমার কাজটি করে দেন।
এ ঘটনায় রোববার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যম কর্মীরা পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ারে কবিরকে বসা দেখে তার পদবী জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি অফিসের কার্য সহকারি পদে রয়েছি। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ারে বসা দেখে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে পারবোনা আপনারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা না বলে আমি সাংবাদিকদের সামনে কোন কথা বলতে পারবো না সাফ জানিয়ে কোন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বিহীন একটি লিখিত কাগজ দেখান। এরপর তিনি দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন। ইতি পূর্বে ওই বেপরোয়া কার্য সহকারী কবির হোসেন পৌর ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমারকে মারধরও করেছিল যা সাংবাদিকদের দৃষ্টিগোচরে রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে পৌর মেয়র অফিস কার্য সহকারি কবিরকে শোকজ করেন। পরবর্তীতে মাপ চেয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করে ফেলা হয়।
এ ঘটনাই লোহাগড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,আমি বর্তমানে ঢাকায় ট্রেনিংয়ে রয়েছি এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আপনারা লিখিত দেন আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।