জহিরুল ইসলাম রাতুল || খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায় মাহিনুর বেগম নামের ৫০ বছরের এক বৃদ্ধাকে।মাথায় রয়েছে চারটা কোপের দাগ। এছাড়াও মুখে আঘাতের চিহ্ন। কথা বলে জানা যায় বৃদ্ধ বয়সে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই মহিলা।
দুই মেয়ে ও স্বামী শহীদুল ফরাজীকে নিয়ে খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামে বসবাস করতেন আহত মাহিনুর। জীবিকা নির্বাহের জন্য গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। তবে স্বামী সন্দেহ করতেন পরকীয়ায় জড়িত আছেন স্ত্রী মাহিনুর। গত 24 শে মে শুক্রবার কাজ শেষ করে চোখের ডাক্তার দেখাতে যান মাহিনুর। ঘরে ফিরতে দেরি হয় স্বামীর সাথে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী শহিদুল ভুক্তভোগী কে থাপ্পর মারেন এতে মাথা ঘুরে পড়ে যান ভুক্তভোগী। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। হাসপাতালে আহত অবস্থায় এমন অভিযোগ করলেন ভুক্তভোগী এই বৃদ্ধা।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে গত রবিবার ২৬ শে মে রাত ১ টার দিকে মাহিনুরদের বাড়ি থেকে চিৎকার শোনা যায়। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা ঘরের তালা ভেঙে মাহিনুর কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। অসুস্থ মাহিনুরকে কাজদিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর কাজদিয়া হাসপাতাল থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এই দম্পতির মাঝে একই বিষয় নিয়ে ২০২৩ সালে ঈদুল আযহার দিনে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল এবং এই ঘটনা বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত হয়। তবে তখন স্বামীকে মাফ করে দিয়ে সংসার চালিয়ে যান এই বৃদ্ধা।
শুক্রবার এরপর থেকে অভিযুক্ত স্বামী শহিদুল ফরাজী পলাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় রূপসা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।