রফিকুল ইসলাম,বেনাপোল || যশোর বেনাপোল মহাসড়ক ও নাভারন, সাতক্ষীরা সড়ক যেন ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান। নাভারন থেকে শার্শা ৩ কিঃমিঃ রাস্তার পাশ দিয়ে যেনতেন ময়লা,আবর্জনা ফেলায় ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় নাভারন বাজারের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে বাজারের পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ীরা রয়েছে শীর্ষে, তারা রাতের আধারে ময়লা, আবর্জনা ফেলার কারণে, এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও নাভারন-৭ক্ষীরি সড়কে কামারবাড়ি ইট ভাটার বিপরীতে. জামতলার পিপড়াগাছি সংলগ্ন সরকারি প্রানী উদ্ভিদ সংরক্ষন বাউন্ডারির পাশে, বর্জ্য,ময়লা স্তুপ পড়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে। শুধু ময়লা আবর্জনা নয়. মরা গরু, ছাগল সহ বিভিন্ন পশু,পাখি এসমস্ত জায়গাই ফেলানো হয়। ময়লা, আবর্জনা থৈ, থৈ করছে রাস্তার ধার দিয়ে।পচনশীল পশু, পাখি কুকুরে ছিড়ে, ছিড়ে খেতে দেখা যায় অহরহ। যশোরের শার্শা উপজেলার অন্যতম জনসমাগম ও ব্যবসা বান্ধব বাজার নাভারন। এই বাজারে সরকারি ভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় এমনটি সৃষ্টি হয়েছে। এই পচা বর্জ গন্ধ বাতাসে মিশে, বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে এবং সড়কের পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। সাধারণ পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচলও ব্যহত হচ্ছে। এই অসহনীয় গন্ধ থেকে বাচতে, নাক, মূখে হাত চেপে ও কাপড় জড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের।
এই এলাকায় বসবাসরত এক বাসিন্দার কাছে আবর্জনা কারা ফেলেছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, রাতের আধারে কে বা কিরা ফেলেছে তার কোন উত্তর দিতে পারেননি।
সরকারি ভাবে ময়লা, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট একটি জায়গার ব্যবস্থা হলে, এমনটি হত না বলে সচেতন মহলের ধারণা।
নাভারন বাজার ও এলাকার পরিবেশ রক্ষায়, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।