রফিকুল ইসলাম,বেনাপোল || শার্শায় এবারের ঈদের বাজারগুলো এখনো তেমন জমে ওঠেনি। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বছরের ২টি ঈদ। ঈদের বাজারে ব্যবসায়ীরা আশায় থাকেন সারা বছরের ঘাটতি এই দুটি উৎসবে পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু যশোরের শার্শা উপজেলার বড়, বড় নাভারন, বেনাপোল, বাগআচড়া সহ গ্রামঞ্চলের বাজারগুলো এখনো আশানুরুপ ভাবে ঈদের কেনাবেচা শুরু হয়নি। বাজারের বড়, বড় মার্কেট, শপিং মলগুলো ক্রেতা শূন্য দেখা গেছে।
থানা সদর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে গার্মেন্টস, কসমেটিকস, জুতা, জুয়েলারি, টেইলার্স দোকান গুলোতে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। আর যাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের মাঝে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়তি কোন চাহিদা নেই।
১৪ই জুন শুক্রবার বিকালে নাভারন বাজারে নিউ মার্কেটে এক ক্রেতা রওশন আরার কাছে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজার ঈদে কেনাকাটা করা হয়েছিল। কিন্তু কোরবানি ঈদে কেনাকাটার চাহিদা থাকলেও সামর্থ নেই। বতর্মান সময়ে জিনিস পত্রের দাম যে উর্দ্ধগতি তাতে সে সাধ মিটে গেছে। জিনাতউল্লাহ শপিং কমপ্লেক্সের সোনালী গার্মেন্টসের স্বত্ত্বাধিকারী মিনারুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা নেই বল্লে চলে। ঈদের এখনো ৩ দিন বাকি আছে, বেচাকেনা হবার সম্ভাবনা এখনো আছে, তারপরও দেখা যাক কি হয়। টাওয়ার মার্কেটের তন্ময় কসমেটিকসের মালিক খালেক বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতারা বড়দের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু নিচ্ছে না। তবে ছোট বাচ্চাদের সাজসজ্জার জন্য অভিভাবকরা কসমেটিকস সামগ্রী ক্রয় করছে। গতবারের তুলনায় এবারের কুরবানী ঈদে কেনাবেচা কম। মার্কেট, শপিং মলের তুলনায় ফুটপতের হকার্স মার্কেট গুলোতে পোশাকের মূল্য অনেকটা কম হওয়ায়, নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো ফুটপথের এই দোকান গুলোতে ভীড় করে থাকেন অনেকাংশে সেখানেও দেখা গেছে একি অবস্থা। ফুটপথের দোকানে আসা ক্রেতা মহিদুল বলেন, রোজার ঈদে পরিবারের কারোর জন্য কিছু কেনাকাটা করা হইল না। এই সময়ে তেমন কোন কাজও নেই, হাতে তেমন কোন টাকা, পয়সা নেই। যেমন আছে, তেমন কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে যায়। এই হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মনিরুল বলেন, ক্রেতা শূন্য অবস্থায় বসে আছি, অলস সময় পার করছি, ক্রেতাদের মাঝে ঈদের কেনাকাটার কোন ভাব দেখছি না।
নাভারন বাজার সহ বেনাপোল, বাগআচড়া বাজারে ঘুরে দেখা গেছে একি অবস্থা। তবে ঈদের দিনে মিষ্টি মুখ করার জন্য মুদি দোকান গুলোতে সেমাই সহ মুদি মালামাল কেনাকাটায় ভীড় ও জমজমাট আছে। ঈদের এখনো ৩দিন বাকি থাকাই বেচাকেনা বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে এ সকল ব্যবসায়ীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এক পথচারী ঝন্টু বলেন, বিগত অন্যান্য ঈদের বাজারে এই সময়ে ভীড় ঠেলে পথ চলা মুশকিল হয়ে যেত, অথচ এবার দেখছি প্রায় সব ফাকা ছিমছাম পরিবেশ। ক্রেতা সাধারণ ও সচেতন ব্যক্তিদের ধারণা দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না থাকা ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। সম্প্রতি সময়ে হালখাতা ও বাজেটের প্রভাবে ঈদের বেচাকেনায় এমন ভাটা পড়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।