চীফ রিপোর্টার|| কেএমপির ওসি হাফিজুর রহমান , চরমপন্থী নেতা নাসিম ও কেসিসি কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী টিপু হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সাবেক সহ সভাপতি শেখ জাফরিন হাসান। রবিবার খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ আভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলা হয় যার প্রেক্ষিতে ২১ জুন গ্রেফতার করা হয় আমাকে। এই মামলাটির কারণে আমি সামাজিকভাবে তিরস্কৃত হচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যে মহিলা মামলা তার নাম সাদিয়া সুলতানা ইতি। তিনি মাদক কারবারি চক্রের সাথে জড়িত। এই মহিলা ইতিপূর্বে তিনটি বিয়ে করেছে। তার স্বামীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডির্ভোস দের। এটাই এর পেশা। এসব অবৈধ উপার্জনের টাকায় এই মেয়ে তার বাবার জমিতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একটি বাড়ি তৈরী করছে। কে.ডি.এ এর নিয়ম না মেনে প্লান ভেঙ্গে বাড়িটি নির্মাণ করছে। প্রতিবেশি কালাম কে.ডি.এ এর কাছে অভিযোগ করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য কালামকে হুমকি দেয়। এরপর কালাম আমার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে আমাকে জানায়। আমি ৩ জুন মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে কালামদের বাড়িতে তার পরিবারকে ডাকায়। তাদের বলা হয় ওদের কে.ভি.এ এর নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি নিমার্ণ করো। তখন ইতি আমাকে বলে আমি কাজ করছি, করব। তুই আমাকে চিনিস। আমি চাইলে
তোর নামে একাধিক মামলা দিতে পারি বা ভোকে মাডার করিয়েও দিতে পারি। তুই আমার বিচার করতে আইছিল ।তখন আমি তাকে বলি গত ০৮/০৬/২০২৪ তারিখ বিকাল ৫ টায় এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সালিসে ডাকেন। যেখানে আমিও থাকব।
এরপর আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বলে আমি কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু ইতি আমার লোক তার বিরুদ্ধে বিচার করতে গেলে মারা পড়ে যাবি। এরপর আমার মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে বলে, আমি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান নেতা নাসিম ইতি আমার লোক ওর বিষয়ে শালিস করতে যাস না, তাহলে বিপদে পড়ে যাবি। এরপর আমার মুঠোফোনে আরেকজন ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে আমি মাহফুজ বাগেরহাট বাড়ি। তোদের বাপ খানজাহান আলী থানার ওসি আমার লোক, ওনিকে দিয়ে কিছু মামলা দিয়ে দিবানী। যদি ইতির বিষয়ে শালিস করতে যাস।
এর প্রেক্ষিতে ১৫ জুন খানজাহান আলী থানায় এই বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী
করতে যাই। ওসি হাফিজুর রহমান আমার জিডি নেয়নি। আমি ওসিকে বলি জিডি না নিলে যদি আমি মারা যাই তাহলে আপনি ওদের
সাথে দায়ী থাকবেন। এরপর আমি পুলিশ কমিশনারকে মুঠোফোনে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি। ৬ জুন
ইতি আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা জিডি করে। ওসি জিডি গ্রহণ করে। এরপর আমরা ০৮ জুন খানজাহান আলী থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিচুর রহমানের উপস্থিতিতে শালিস করি। শালিসে এই মেয়েকে কে.ডি.এ এর নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর ঐ মেয়ের দায়ের করা জিডি ২০ জুন আদালত খারিজ করে দেয়। ঐ দিন রাতে ওসির সাথে যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। মামলার ঘটনা লেখা ০৭ জুন তারিখে আমরা যে শালিস করেছি তার আগের দিন রাতে। তাহলে আমি তার পরের দিন বিকাশে তার বাড়ির সামনে গণ্যমান্য মানুষের উপস্থিতিতে কিভাবে শালিস করলাম। তখন তো ঔই মেয়ে বা তার পরিবার শালিশদারদের কাছে কিছুই বলেনাই।
মামলার তারিখ অনুযায়ী ০৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান জামাল ভাইয়ের অফিসে আমি উপস্থিত ছিলাম। আমাকে মহামান্য আদালত ০৯ জুন তারিখে যাবিন দেয় ও তদন্তকারী কর্মকর্তা অয়ন কে শোকজ করে।
তাহলে সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিভাবে থানায় মামলা হলো এবং আমাকে এই বিষয়ে গ্রেফতার করা হলো।
তিনি সংবাদকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ এই সাদিয়া সুলতানা র্যাকেটের যে সকল পুলিশ, কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সন্ত্রাসী আছে তাদের অনুসন্ধান করে আইনের আউতাই আনা হোক। এ যেন এমণি আনার হত্যা মামল আসামী
শেলেণ্ডী মতো খুলনার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী আর এক শেলেন্তী।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বলেন, দেশবাসি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাচ্ছি আমি জিবনে নিরাপত্তাহীনতায় আরো নতুন করে মিথ্যা মামলা হওয়ার আশংকা করছি। আমাকে হত্যা করা হলে কাউন্সিলার গোলাম রব্বানী টিপু, খানজাহান আলী থানার ওসি হাফিজুর রহমান, চরম পন্থীনেতা নাছিম, সাদিয়া সুলতানা ইতিসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামী হিসাবে গণ্য হবে। ওসি যেহেতু এই চরম পন্থীদের পক্ষে কাজ করছে সেহেতু ওসির ইন্দনে আমাকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে এবং যেকোন বিপদে ফেলতে পারে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।