বেনাপোল প্রতিনিধি || যশোরের শার্শা উপজেলার সরকারি অফিস গুলোতে বিরতিহীন ভাবে বিদ্যুৎ অপচয়ে রয়েছে শীর্ষে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যলয় সহ, প্রশাসনের সকল দপ্তরের অফিস কক্ষগুলোতে বিদ্যুৎ এর অপচয় হচ্ছে দেদারসে। প্রতিদিন সরকারি ভাবে অফিস সময় সকাল ৯ টা থেকে অফিস খুললেও, অফিসের সাথে, সাথে ইলেকট্রিক বাল্ব ও ফ্যানও চালু করে দেওয়া হয়। অথচ অধিকাংশ অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আসেন ১০ টার পর থেকে। এই দীর্ঘ এক ঘন্টা অযথা বিদ্যুৎ অপচয় করে থাকেন দায়িত্বহীন কর্মকর্তারা। থানা প্রশাসন সহ উপজেলার শিক্ষা অফিস, সমাজ সেবা. মৎস্য, বি আর ডি বি, নির্বাচন, ভূমি অফিস সহ প্রশাসনের সকল অফিসে কক্ষ ও এর বারান্দায় বেকার বাল্ব ও ফ্যান চলতে দেখা যায় অহরহ।
এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দেখা যায় বিদ্যুৎ অপচয়ের একি অবস্থা। হাসপাতাল ভবনের কক্ষের ভিতরে ও বারান্দায় কোন ডাক্তার না থাকলেও,লাইট ও ফ্যান চলতে দেখা যায়। অফিস সময় শেষ হয়ে গেলেও,গভীর রাত পযর্ন্ত বারান্দায় ফ্যান বিরতিহীন ভাবে চলতে দেখা যায় নিয়মিত প্রতিদিন। কোন রোগী বা কোন দর্শনার্থী ও সাধারণ মানুষ জন না থাকলেও,এভাবে বিরামহীন ভাবে গভীর রাত পযর্ন্ত চলছে ফ্যান।এই ফ্যান সারারাতেও বন্ধ হয় কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।ফলে বিদ্যুৎতের অপচয় হচ্ছে নির্বিঘ্নে, ৫০ শয্যার এত বড় হাসপাতালে যেন রক্ষণাবেক্ষণের কেউ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশীর মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
এভাবে প্রতিনিয়ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে অস্বাভাবিক হারে, আর এর ভূতুড়ে বিল গুনতে হচ্ছে সাধারণ জনগণ ও গ্রাহকের। যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ অপচয়ে এই অবস্থা, তাহলে সাধারণ জনগণ কি করবেন সেটাই দেখার বিষয়। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের মারাত্মক ভাবে লোডশেডিং হওয়ার এটাও একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সচেতন মহল। এভাবে অপচয় প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।