1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
অগ্রগতি সংস্থার আয়োজনে ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনায় তথ্য বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  লোহাগড়ায় বিএনপির অফিস উদ্বোধন পাইকগাছার গদাইপুরে গনশুনানী অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে ৫০’পিস ইয়াবা’সহ আটক ১ দিঘলিয়ায় সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ কেশবপুরের মঙ্গলকোটে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় ৮ দলীয় ফুটবল ডেভেলপমেন্ট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত খুলনার রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত এমইউজের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা, সদস্যের মৃত্যুতে ভোট স্থগিত প্রবীণ সাংবাদিক হারুনার রশীদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ নাভারনে জামায়াত ইসলামের প্রচার ও স্বাগত মিছিল জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষে পাইকগাছার কপিলমুনিতে র‍্যালী ও পথসভা নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী’ পাইকগাছায় শেখ ইমাম উদ্দীন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন পাইকগাছা উপজেলা আহলে হাদিস এর কর্মী সম্মেলন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত  পাইকগাছার হরিঢালীতে আদর্শ লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ খুলনা মহানগরীতে পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী হাড্ডি সাগর গ্রেফতার  খুলনায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান কেশবপুরে ইয়ুথ পিস এ্যাম্বাসেডর গ্রুপ-এর ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত তেরখাদায় ইয়াবা ও গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী ও ২জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার

পাকা তাল ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২৯ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা প্রতিনিধি || তাল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম: Borassus flabellifer. ইংরেজি নামগুলি হলো- doub palm, palmyra palm, tala palm, toddy palm, wine palm অথবা ice apple.এটি একটি এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রীষ্মকালীন বৃক্ষ। এই গাছের ফলকে তাল বলা হয়। এরা এরিকাসি পরিবারের বরাসুস গণের একটি সম্পূরক উদ্ভিদ।এর আদিবাস মধ্য আফ্রিকা।

তালগাছ পাম গোত্রের অন্যতম দীর্ঘ বৃক্ষ যা উচ্চতায় ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট পর্যন্ত পৌছতে পারে। তালের পাতা পাখার মত ছড়ানো তাই বোরাসাস গণের পাম গোত্রীয় গাছগুলিকে একত্রে ফ্যান-পাম বলা হয়।তাল ভারতীয় উপমহাদেশীয় অনেক অঞ্চলেরই জনপ্রিয় গাছ। কারণ এর প্রায় সব অঙ্গ থেকেই কিছু না কিছু কাজের জিনিস তৈরী হয়,কিছুই ফেলা যায় না। তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা,তালপাতার চাটাই,মাদুর, আঁকার পট,লেখার পুঁথি,কুণ্ডলী,পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয়। তালের কাণ্ড দিয়েও বাড়ি,নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরী হয়।

তালগাছের কথা উঠলেই সবার আগে মনে পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সে বিখ্যাত ছড়াটির কথা-তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে,সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ, তালপাতার নীচে বাবুই পাখির বাস-এ এক অনিন্দ্য সুন্দর ছবি। খান মুহম্মদ মইনুদ্দীন এর ছড়া-ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ।বাগধারায় আছে- ভাদ্র মাসের তাল’ বাগধারা অর্থ হবে প্রচণ্ড কিল। হাটুরে চোরটার উপর ভাদ্র মাসের তাল পরতে লাগলো।তাল কিন্তু বাঙালি জীবনে বহু পুরোনো ব্যাপার। ঘটি না ডুবলেও বাঙালি পুকুরের নাম রাখে তালপুকুর।বাঙালির যাপিত জীবনে তালগাছ কেন পুকুরপাড়ে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।

আর যেসব ব্যাখ্যা পাবেন,সেসব শুনলে বেতাল হয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া বাঙালি তিলকেও তাল বানাতে পারে। বলা উচিত, তিলকে তাল বানাতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। কেন তিল তাল হয়, সে ব্যাখ্যাও নেই বাঙালির জীবনে। সম্ভবত এসব ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই বাঙালি তালপাখা দিয়ে হাওয়া খেতে খেতে তাল পাতায় লেখা পুঁথির গল্পে ডুবে যেতে ভালোবাসে।শুধু সাহিত্যে নয় খাদ্য তালিকাতেও তালের গুরুত্ব অপরিসীম। তালের ফল এবং বীজ দুইই বাঙালির খাদ্য। তালের ফলের ঘন নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরী হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা “তালশাঁস” নামে। তাল গাছের কাণ্ড থেকেও রস সংগ্রহ হয় এবং তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, তাড়ি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।

অন্যদিকে,তালে রয়েছে বহুবিধ গুণ। রয়েছে একাধিক ব্যবহার। একাধিক ভিটামিন।ভিটামিন এ, বি, সি,জিংক,পটাশিয়াম,আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক খনিজ উপাদান।এর সঙ্গে আরো আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (Antioxidant) ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি (Anti inflammatory)উপাদান বিশেষজ্ঞদের মতে,পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি,জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম,আমিষ ০.৮ গ্রাম,চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম,খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম,ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম,আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম,রিবোফ্লাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম,নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।

স্কিনের ইনফেকশন(Skin Infection) অথবা ইরিটেশনেও(Irritation) তাল খুবই উপকারী।তাল ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant)রয়েছে যা করোনা প্রতিরোধেও কার্যকরী।তাল অ্যান্টিভাইরাল(Antiviral)হিসেবেও কাজ করতে পারে।বর্ষার মাস শ্রাবন ভাদ্র মাসে তাল পাকে৷চারিদিকের তালগাছে সব তালগুলি পাকিল৷ পাকা তালের রসে তৈরি হরেক রকম খাবার৷ তালের রসে ভাজা বড়া লাগল দারুণ সবার৷ লোকে বলে ভাদ্র মাসে খাওয়া চাই তাল৷ নইলে পরে জুটবে নাকো অন্ন-নুনে ডাল।

ভারতীয় কবি সুদীপ্ত সরকারের কথায় ‘তাল’-এর ব্যাখ্যা যেন সবটা বর্তায়। ঠিকই এই মৌসুমী ফল শুধু সাহিত্যের তালিকায় সীমাবদ্ধ নেই,খাদ্য তালিকাতেও তালের গুরুত্ব অপরিসীম।এদিকে,ভাদ্র মাস এলেই মনে পড়ে তালের কথা।আর তালের কথা মনে হলে অজান্তেই তাল পিঠা খাওয়ার জন্য মন আকুলি বিকুলি করে ওঠে।পুরাকালের ভাদ্রমাসে তাল ফল পাতে তোলার কাহিনীও রয়েছে।হিন্দুধর্মে বর্ণিত নবগ্রহদের রাজা হলেন শনিদেব। সেই শনিদেবের পছন্দের ফল নাকি তাল। বিভিন্ন শাস্ত্র এতে ভিন্ন মত পোষণ করে। তবে স্কন্দ পুরাণে শনি দেবতার জন্ম ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই থেকে ভাদ্র মাসের (বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) প্রতি শনিবার হিন্দুধর্মাবলম্বীরা গৃহসুখ,সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় শনিদেবতার আরাধনা করে থাকে। আর যেহেতু ভাদ্র মাসে তাল ফল পাওয়া যায় ও শনিদেবের পছন্দের ফল এই তাল।

তাই বেশ ঘটা করেই বিভিন্ন পাকোয়ান বানিয়ে দেবতাকে নিবেদন করে থাকেন অনেক ভক্ত। পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে এমনকি গৃহস্থেও চলে শনি আরাধনা। সঙ্গে অবশ্যই থাকছে সেই ‘ভাদ্রফল’ তাল।পরিশেষে কবি নজুরুল এর কবিতার ভাষায়-”বন্ধু আজও মনে যে পড়ে আম-কুড়ানো খেলা,আম কুড়াইবারে যাইতাম দুইজন নিশি ভোরের বেলা”। আমকুড়ানির মতো তালকাড়ানি সুখও এক দারুন ব্যাপার। শরতের লিলুয়া বাতাসে পাকা তাল ধুপধাপ খসে পড়লে কাড়াকাড়ি করে তার দখল নেয়া শৈশবের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারই বটে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।