খুলনার খবর || খুলনার বংশীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ফারুক মীর (৩৫) নামে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০/১২ জন।
আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন- নুরু মোল্লা (৪০),জসিম মীর (৪০),গাউছ মীর (৭০),ইলিয়াছ মিনা (৫০)।সংঘর্ষ চলাকালে কোলাবাজারে একটি ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলাবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার সংঘর্ষে ইউপি সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলার সীমান্তবর্তী দিঘলিয়ার কোলাবাজারের মো. মোস্তাইন কাজীর ওষুধের দোকানের সামনে তেরখাদার ইউপি সদস্য ফারুক মীর, মোহাম্মদ কাজী ও নিয়াল উদ্দিন শিকদারের মধ্যে মারামারি হয়। এই মারামারিতে এলাকার দুই পরিবারের সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানই তেরখাদা উপজেলার ৪ নম্বর মধুপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারুক মীর মারা যান।এদিকে, তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আলীকে রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।