মোঃ রফিকুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি || অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতে গেল বাংলাদেশি রুপালী নদীর ইলিশ। দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে যাচ্ছে ১৮ মেট্রিক টন (১৮ হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ৬টি ট্রাকে করে প্রথমে পৌছে বেনাপোল বন্দরে।
পরে মাছের মান পরীক্ষার পর দেয়া হয় ভারতে যাওয়ার অনুমতি। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য পড়ছে ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২০০ টাকা প্রতি কেজি রপ্তানি মূল্য।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়।
এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ পৌঁছাত। আগের সরকারগুলো একে বলত, ‘উপহারের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে তত্তাবধায়ক সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো নিয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানায়। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে ইলিশের চালান বন্দরে আসার পর মান নিয়ন্ত্রন যাচাই করে ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। আজ প্রথম চালানে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে যদি আরো কোন ইলিশ মাছের ট্রাক বন্দরে আসে তাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রপ্তানিকারকরা ১০ মার্কিন ডলার মুল্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশী টাকায় যার মুল্য প্রায় ১২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ৬টি প্রতিষ্ঠান ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ ছাড়াতে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমস হাউজে জমা দিয়েছেন। মাছের চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় আমাদের পক্ষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।