খুলনার খবর || দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপূজা ফলে শেষ মুহূর্তে চলছে প্রতিমায় রঙ-তুলির কাজ।সারাদেশে পূজা মণ্ডপগুলোতেও চলছে নানা প্রস্তুতি।আগামী তে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১৩ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।
আজ শুভ মহালয়া। আজ থেকে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু। মহালয়ার দিনে ভোর থেকে পূজামন্ডপগুলোয় চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা আর ঢাকের বোলে দুর্গাদেবীকে আহ্বান করা হচ্ছে। মহালয়া উপলক্ষে আজ জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজার্চনা ও অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। কল্পারম্ভ আবাহনে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন, ঘট স্থাপন, চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা, আরাধনা, পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে স্মৃতি তর্পণ ও ধর্মীয় সংগীত অনুষ্ঠিত হবে। মহালয়ার পরে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি ও উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে পূজামণ্ডপের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তা সরকারি বা পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা নয়। এটি একটি সম্ভাব্য তালিকা। গত বছর মোট পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১।
দুর্গাপুজা উপলক্ষে খুলনা জেলায় এবার ৯৯১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে, গত বছরের তুলনায় এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৫৪টি কমেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এ বছর অনেক মন্দির কর্তৃপক্ষ পূজা উদযাপনের আকার সীমিত করেছে।খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্যমতে, খুলনা মহানগরের ১০১টি মণ্ডপসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ৮৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
যশোরের পূজা মণ্ডপগুলোতেও চলছে নানা প্রস্তুতি। জেলার ৬৫২টি মন্দির ও মন্ডপে এবার উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার যশোর সদর উপজেলায় মোট ১৫৭টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যশোর পৌরসভায় ৪৯টি। এ ছাড়াও মণিরামপুর উপজেলায় ৯৩, অভয়নগর উপজেলায় ১১৫, বাঘারপাড়ায় ৮৩, কেশবপুরে ৯২, ঝিকরগাছায় ৪৮, শার্শায় ২৮ ও চৌগাছা উপজেলায় ৩৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ বুধবার। এদিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান।
শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। হিন্দুরা মনে করেন, শরতের আকাশে-বাতাসে এখন যেন মন্দ্রিত হচ্ছে ‘রূপংদেহি, জয়ংদেহি, যশোদেহি, দ্বিষোজহি’র সুরলহরি। আজ ঘনঘটার অমাবস্যা তিথিতে প্রাণে দ্যোতনা তুলে ঢাকে পড়বে কাঠি। দুর্গোৎসবের মোট তিনটি পর্ব -মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষ সাঙ্গ করে দেবীপক্ষের দিকে যাত্রা হয় শুরু।২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) বুধবার দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুর্গাদেবীর মহাসপ্তমী, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) শুক্রবার মহাষ্টমী, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) শনিবার মহানবমী এবং ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) পূজা হবে। দশমীর দিন পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।