ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনা প্রতিনিধি || সরকারের নির্ধারণ করা দামে এখনো মিলছে না ডিম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সায়। সে হিসাবে প্রতি ডজন ১৬৫ টাকা বা এর বেশি। যদিও সরকারি নির্ধারিত দামে প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বা ডজন ১৪২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ টাকা। এদিকে সারাদেশে টানা বৃষ্টির কারণে চড়া সবজির বাজারও।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ডিম বিক্রি করছেন সাহনেওয়াজ বাপ্পি খুলনার নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে পুরোনো ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি একজন।ডিমের বর্তমান বাজার নিয়ে তিনিও দুশ্চিন্তায়। সরকার নির্ধারিত দাম আর বাজারের বাস্তবতা মেলাতে পারছেন না। ডিম ব্যবসায়ী সাহ নেওয়াজ বাপ্পি বলছেন, দুটি উপায়ে কমতে পারে ডিমের দাম।
তিনি বলেন,পোল্ট্রি খাবারের দাম যদি কমানো হয় এবং মনিটরিংটা যদি ঠিক হয় তাহলে ডিমের দামটা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসা সম্ভব।বাজারগুলোতে সরকারের নির্ধারণ করা দামে মিলছে না ডিম। ১১ টাকা ৮৭ পয়সা পিস বিক্রি করার কথা থাকলেও ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ডিম।
ডিম ক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান,সরকারি যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো ১৪২ টাকা। সে দাম দরে আমরা বাজার থেকে পাচ্ছি না।
ফার্মে আগে যেই উৎপাদনটা হতো,এখন সেই উৎপাদনটা একেবারেই কম। এইজন্য মালের দাম বাড়ছে বলে জানান আরেক বিক্রেতা।ডিম ব্যবসায়ী সাহনেওয়াজ বাপ্পি বলেন এ অবস্থায় ডিমের বাজার তদারকিতে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার। খুলনা নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ডিমের মূল্য তালিকা টাঙানো সহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রাণী রায় বলেন,বিক্রেতারা ডিমের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে দেখাচ্ছে যে খামারিদের কাছ থেকে ডিমের সংগ্রহ কম করতে পারছে। যার জন্য যোগান কম এবং দামটা বেশি।এটা তারা বলছে কিন্তু পরবর্তীতে আমরা এটাও যাচাই করবো।’
এদিকে মুরগির বাজারেও দাম বাড়তি। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ আর সোনালি মুরগী সর্বোচ্চ ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচাবাজারে বেড়েছে সব সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ৭০-৮০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ছুঁয়েছে ৩২০-৩৪০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬৫-৭০ পেয়াজ ১১০,আলু ৬৫,রসুন ২২০ টাকাসহ বাজারে পাওয়া শাকের আটির দামও বেড়ে ৫-১০ টাকা।
বাজারে সবজির সরবরাহ কমার দাবি করে বিক্রেতারা বলছেন,পাইকারিতে দাম বেশি থাকায় খুচরা পর্যায়েও বেড়েছে দাম। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটিতে মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। সব দেশি মাছ কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বড় ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬শ থেকে ১৭শ টাকা।
মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, মাছের আমদানি কম। সরবরাহ কম। ইন্ডিয়া যাচ্ছে মাছ এইজন্য দাম বেশি।
এদিকে গরুর মাংস ও খাসীর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।