অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট প্রতিনিধি || বাগেরহাট সদর উপজেলার এক সময়ের আদর্শ নাটইখালি বিদ্যাপীঠ ছিল অত্র এলাকার নামকরা প্রতিষ্ঠান অথচ হাজারো শিক্ষার্থীর পদচারণা নেই।
ফ্যাসিস্ট সরকারের বসিয়ে দেয়া প্রধান শিক্ষক সায়েবের দুর্নিতি স্বেচ্ছাচারীতা অনিয়ম ও কোটি টাকা আত্ম সাতের অভিযোগে মানববন্ধন বিক্ষোভ প্রতিবাদ ও স্মারক লিপি প্রদান।
বাগেরহাট জেলার সদরের অন্যতম এক সময়ের সেরা বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক নাটইখালির প্রধান শিক্ষক মোঃ সোয়ায়েবুল ইসলামের একাধিক দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা শিক্ষক পিয়ন নিয়েগে ও পুর্বতন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোল্লা আঃ জব্বারের স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে সব টাকা উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ সহ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে সোমবার (৮ অক্টোবর) সকালে স্কুল প্রাঙ্গনে মানববন্ধন বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে এলাকার সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষক বৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহীর রেজুলেশন এবং ৫ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার পরও তাকে বেতন দেয়া হলে এলাকার ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকার সচেতন বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুসে ফেপে উঠে। গোটাপাড়া ইউনিয়নের সেরা স্কুল হিসেবে খ্যাত নাটইখালিতে পার্শ্ববর্তী কচুয়া ধোপাখালি ইউনিয়নের অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা শিক্ষার্থী হিসেবে এখানে মাইলের পর মেইল কর্দমাক্ত হয়ে ক্লাস করতে আসতো।অনেক প্রতিথযশা নামি-দামি জনপ্রিয় ব্যক্তিরা এই স্কুল হতে শিক্ষালাভ করে দেশ বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এই বিদ্যালয়টিকে করেছে আরও সমৃদ্ধ অধিক সন্মানিত ও পরিচিতির ব্যাপ্তি ঘটিয়েছে।
ফ্যসিস্ট সরকারের রাস্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষিতে তাদের দোসর হিসেবে এখানকার প্রধান শিক্ষক মো সোয়ায়েবুল ইসলাম একের পর এক দুর্নিতির সাথে জড়িত থেকে এই স্কুলটির পুরো কাঠামো ধংস করে দিয়েছে।বার বার আড়াই কোটি টাকার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাডেমিক ভবন নির্মানের টাকা ফেরত গিয়ে পাতিলা খালিতে অবশেষে সেই ভবনটি নির্মিত হলেও জায়গার সংকট দেখানো হয়েছে অথচ প্রধান শিক্ষক সায়েব স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানকার হরেকরকম প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ পকেটস্থ করে।
৫ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এলাকার বিদগ্ধজন মাপ- ঝোপ করে যে জায়গা দখলমুক্ত করা হয় সেখানে একই সাথে পাচটি ভবন নির্মাণ করা যায়।মাসের মধ্যে শহর থেকে দু”তিন দিন স্কুলে উপস্থিত হয়ে পুরো হাজিরা খাতায় মাসের স্বাক্ষর করা যেমন অনৈতিক আর কখনও কোন ক্লাশ নেয়নি বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। আগ্রাসী মনোভাব এতোটাই কয়েকবার পুর্বতন জেলা প্রশাসক এর কাছে অভিযোগ এনেও তারা সুরাহা করতে ব্যার্থ হওয়ায় বলেন আপনারা আল্লাহর কাছে নালিশ জানান। প্রধান শিক্ষক সায়েব স্কুল কমিটির সভাপতি মোল্লা আঃ জব্বার এর মৃত্যুর পর তার স্বাক্ষর জাল করে নয়টি চেকের মাধ্যমে সব টাকা উত্তোলন করে।২০২৩ সালে ৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।স্কুল গ্রাউন্ডের সকল গাছ বিনা রেজুলেশনে বিক্রি করে বিক্রি ও তার নিজ বাড়ির ফার্নিচার করেছে।শিক্ষকদের টিউশন ফি সম্পুর্ন আত্মসাৎ এ যেন তার বাবার টাকা।বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে স্কুলের বেষ্টনী ওয়াল সংস্কার করার বররাদ্দকৃত এক লাখ আশি হাজার টাকা উত্তোলন করে মাত্র বিশ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে বাকিটা নিজ পকেটস্থ করে। সরকারি বই অতিরিক্ত উত্তোলন করে প্রকাশ্য বিক্রি করে দেয় যার কোন ভাগই কাউকে দেয়া হয়না।
পুকুর ইজারা দেওয়ার টাকা,প্রতিবছর এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা বাধ্যতামূলক গরিব ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকেও জোর পুর্বক আদায় করে নিতো না হলে তারা পরীক্ষা দিতে পারবেনা।যে কারনে দু” হাজার শিক্ষার্থীর যে পদভারে প্রকম্পিত হতো স্কুল ক্যাম্পাস এখন সেখানে শতাধিক ছাত্রই নেই তারা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে পাঠাদান করতে পাড়ি জমিয়েছে।স্কুলের সকল কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ তার যেন চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে কখনো কখনো বিনা কারনে শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড মারপিট করতে ইতস্তত করতোনা। স্থানীয় শহীদ মোল্লার ছেলের নামে সায়েব অভিযোগ আনলে তার বাবা স্কুলে গিয়ে প্রকাশ্য ছেলেকে মারপিঠ করলেও প্রাধান শিক্ষক সোয়ায়েবুলের তীব্র রোষানল থেকে বাদ যায়নি পুনরায় তাকে গনপিটুনি দিয়ে আহত করে।এই স্কুলের খেলার শিরোখালি মাঠটিতে বারো মাসই ফুটবল খেলা এখানকার ঐতিহ্য হয়ে দাড়িয়েছিল মাঠ সংস্কারের নামে টনকে টন চাউলের টাকা ও ২০১৩-২০২৪ সালে ৭ জন আয়া পিওন ঝাড়ুদার নিয়োগ দিয়েছে প্রতিজনের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আতস্মাত করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এ ব্যাপারে তার ভাগ্নে এ এস পি রুহুল আমিন গাজীর যথেষ্ট পৃষ্টপোষকতা ও সুযোগ গ্রহন করেন।গাজী রুহুল আমিনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান চাকরি দিলেও তার নামেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে তার মামাতো ভাইকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দানে তার জোর প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে এই দ্বায়ভার তাকেও নিতে হবে বলে এলাকার ভুক্তভোগী হাজারো মানুষ জানান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।