খুলনার খবর || কয়রায় ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ঘেরের জমি ও পাওনা টাকা ফিরে পেতে খুলনা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন ঘের মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
৩ অক্টোবর লিখিত আবেদন করেন কয়রার চরামুখা গ্রামের শমীভূষণ মন্ডলের ছেলে প্রশান্ত কুমার মন্ডল ও দক্ষিন বেদকাশী গ্রামের আব্দুল ওহাব সরদারের ছেলে এস. এম. গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
লিখিত আবেদনে তারা বলেন,প্রশান্ত কুমার মন্ডল, এস. এম. গোলাম মোস্তফা ও কয়রার মেদের চর গ্রামের প্রফুল্য মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল ২০২৪ সালের প্রথম দিকে চরামুখা, হলুদবুনিয়া ও পদ্মপুকুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে ২ শতাধিক জমির মালিকের কাছ থেকে ২১ সদস্য বিশিষ্ট মৎস্য ঘের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে মাছ চাষ বা ঘেরের ব্যবসা শুরু করি। আইলায় এই এলাকা সাড়ে ৪ বছর নদীর পানিতে প্লাবিত থাকায় পানির স্রোতে এই ৩০০ বিঘা কৃষি জমি ২৫/৩০ ফুট গভীর খালে পরিনত হয় এবং নদীর বেড়ীবাঁধ নির্মানের পরে ২০১৫ সাল থেকে পর্যায় ক্রমে বিভিন্ন বহিরাগত ভূমিদস্যুর দখলে চলে যায়। এতে জমির মালিকেরা হারির টাকা পায় না । প্রতিবাদ করলে তাদের বাড়িতে, উপজেলা ও জেলা সদরে জমির মালিকদের লাঞ্চিত হতে হয় ও মৃত্যুর হুমকি আসে। বিগত সরকার আমলে ২০২২ হইতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমির মালিকদের আন্দোলন সংগ্রামে উপজেলা সদর ও বহিরাগত ভূমিদস্যুরা এবং সাবেক জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে স্থানীয় দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কয়রা থানা ওসি সাহেবের উপস্থিতিতে জমির মালিকদের একটি কমিটি ব্যবসায়ী নিয়োগ করে ঘের পরিচালনা করবে এবং জমির মালিকদের হারির টাকা প্রদান নিশ্চিত করবে সিদ্ধান্ত হয়।
দেবাশীষ মন্ডলকে মাছের ঘের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয়। দেবাশীষ ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস হইতে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মাছের ঘেরের সকল আয় ও ব্যয়ের সার্বিক হিসাব আমাদের প্রদান করে। তবে মে মাস হইতে যখনই ঘেরের মাছ উৎপাদন ও আয় প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় তখন থেকে আমাদের কাছে আর হিসাব দেয় না। দেবাশীষ কর্মব্যস্ততা ও বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। এভাবে জুলাই মাস পর্যন্ত সকল খরচ বাদে ১২ লক্ষ টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ করেছে তিনি। মাছের ঘেরে আমাদের যৌথ নিয়োগের কর্মচারী বাদ দিয়ে এবং ১৫/২০ স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী লোক নিয়োগ দিয়ে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এককভাবে অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকে।
গত ৫ই আগস্টে আওয়মী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে তার পালিয়ে যায়। এবং দেবাশীষের উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু স্থানীয় ও বহিরাগত লোকজন ঘেরের চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও ঘেরে অবস্থান নেয়। আমরা ও জমির মালিকরা ঘের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি । কিন্তু কয়েকদিন পর দেবাশীষের ৪/৫ জন লোক পুলিশ ও রাজনৈতিক সহযোগিতায় ঘেরের একটি বাসায় অবস্থান নেয় এবং আমাদের কর্মচারীদের খুন করার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও থানা পুলিশের কাছে একক ঘের দাবি করে বার বার হাজির হওয়ার ওয়াদা করে অনুপস্থিত থেকে আমাদের ও জমির মালিকদের হয়রানি করে। এ অবস্থায় দেবাশীষ মন্ডল ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রভাবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে মাছের ব্যবসায়ী ও ঘের মালিকরা যাতে ন্যায্য পাওনা বুঝে পাই ও জমির মালিকরা হারির টাকা বুঝে পাই তার দাবি জানাচ্ছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।