1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় গণজমায়েত-মিছিল পাইকগাছায় ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে মহানগর নিসচা’র বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালিত যশোরে মনিহার সিনেমাহল হচ্ছে সিনেপ্লেক্স বটিয়াঘাটায় তুচ্ছ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কেশবপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান উপলক্ষে কর্মশালা কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনে চালু হলো বিশেষ ট্রেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগর নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এর অপসরণের দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় নার্সারি মালিক সমিতির সাথে জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভা  বটিয়াঘাটায় বাংলাদেশ কৃষক দল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতৃবৃদের সাথে মতবিনিময় সভা আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ’ উপলক্ষে খুলনায় র‍্যালি ও মানববন্ধন বিভাগীয় শিল্পী কল্যাণ সংস্থা খুলনা এর আহবায়ক কমিটি গঠন লোহাগড়ায় সিধ কেটে ঘরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে খুন বিশ্ব আয়োডিন দিবসের আলোচনা সভা মোংলা বন্দরের আন্তজার্তিক নৌ ক্যানেলে বাল্কহেড জাহাজ ডুবি, ৬ নাবিক জীবিত উদ্ধার পাইকগাছায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস এবং হাত ধোয়া দিবস পালিত

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ, কিস্তি পরিশোধের দুশ্চিন্তায়

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৬ বার শেয়ার হয়েছে

নিউজ ডেক্স || ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় মাছ ধরা, পরিবহন, বিপণন ও সংরক্ষণ সম্পন্ন নিষিদ্ধ থাকবে।

এতে বেকার হয়ে পড়বে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার পাড়ের কয়েক হাজার জেলে। যে কারণে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন তারা। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধে তাদের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাজ। তবে নিষেধাজ্ঞার সময়ে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল দেওয়া হচ্ছে।

জেলেরা বলছেন, এবার ভরা মৌসুমে পদ্মায় ইলিশ কম থাকায় অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। এরই মধ্যে আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অভিযান চালানো হবে। আর জেলেদের সংকট দূর করতে নিবন্ধিত জেলেদের দেওয়া হচ্ছে ২৫ কেজি করে চাল।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার চারটি উপজেলার ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মোট জেলের সংখ্যা ৫ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে সদরে ২ হাজার ৫৯০, গোয়ালন্দে ২ হাজার ১৫১, কালুখালীতে ৩২৪ ও পাংশায় ৪৪৮ জন জেলে ইলিশ মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তবে জেলায় ইলিশ আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বরাদ্দপ্রাপ্ত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৯০ জন। মৎস্য বিভাগের তালিকাভুক্ত জেলেদের জন্য জেলায় বিতরণ করা হবে ১১৭.২৫ টন চাল। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে দেওয়া হবে ২৫ কেজি চাল।

দৌলতদিয়া পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, যেহেতু ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকবে, তাই ঘাটে ভেড়ানো হচ্ছে নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ আবার নিষেধাজ্ঞার আগে শেষবারের মতো নদীতে যাচ্ছেন মাছ ধরতে। তবে তাদের ফিরতে হবে আজ রাত ১২টার আগেই। কেউ কেউ আবার আগে থেকেই জাল, নৌকাসহ মাছ ধরার সব উপকরণ তুলে এনেছেন ঘাটে।

রাজবাড়ী সদরের গোদারবাজার, মৌলভিঘাট, লালগোলা, বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা, গোয়ালন্দের অন্তরমোড় থেকে দৌলতদিয়া চর কর্নেশন পর্যন্ত দেখা যায়, পদ্মা পাড়ের কিছু অসাধু মৌসুমী জেলেরা মাছ ধরার জন্য নতুন ইঞ্জিন, জাল, নৌকা সংস্কার করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। মৌসুমী জেলেরা সারাবছর নদীতে মাছ না ধরলেও বেশি মাছ ও লাভের আশায় অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ সময় জাল নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। তাদের সঙ্গে কিছু প্রকৃত জেলেরাও মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। সেই সঙ্গে মাছ ক্রয়ের জন্য অনেক মৌসুমী মাছ বেপারী অধিক মুনাফার প্রস্ততি নিচ্ছে।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার জেলে শুকুর হালদার বলেন, মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে, তাই জাল ও নৌকা নিয়ে তীরে এনে রেখেছি। নিষেধাজ্ঞা সময়ে সরকার জেলেদের জন্য যে চাল দেবে, তা দ্রুত বিতরণের দাবি জানাই।
আরেক জেলে অসেল হালদার বলেন, ইলিশ ধরা ২২ দিন নিষেধ, এ সময় এনজিওর কিস্তির টাকা আদায় যদি বন্ধ থাকতো, তাহলে কিছুটা হলেও ভালো থাকতে পারতাম। সরকারের দেওয়া ২৫ কেজি চালে আমাদের কিছুই হয় না।

এদিকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে নৌ পুলিশ। তারা বলছে, মা ইলিশ রক্ষায় শক্ত অভিযানের কথা।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছগির মিয়া বলেন, ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময় আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশসহ কোনো মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে ও নদীতে নামতে না পারে সেজন্য আমাদের টিম সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। আমরা ঘাটে ঘাটে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক সভা এবং লিফলেট বিতরণ করেছি।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, ইলিশ অভিযান সফল হলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে যাবে। তাই অভিযান সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।