মোঃ ইমরান বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি || বটিয়াঘাটা উপজেলার ১নং জলমা ইউনিয়নের এক ভূমিহীন কৃষকের আর্তনাদ জালিয়াতি চক্রের হামলার অত্যাচারে জন্ম থেকে জ্বলছিরে দাদা । বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন স্ট্রোক জনিত কারণে প্যারালাইজে অসুস্থ্য ভূমিহীন কৃষক আলমগীর হোসেন।
জলমা ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে গত ২৭/১১/১৪১৪ বাংলা ও ১০/৩/২০০৮ ইং তারিখে তেঁতুলতলা মৌজায় ৭৪/২০০৫-০৬ ও ৭৪/২০০৬-০৭ নং বন্দোবস্ত মামলায় ৫০ শতক জমি ০১/১৩৯৪ নং কবুলতী স্মারকে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত পেয়ে ভোগদখলে থাকিয়া নাম পত্তনের মাধ্যমে করখাজনা পরিশোধ পূর্বক চাষাবাদের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করিয়া জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
উল্লেখ্য জলমা ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার মৃত রশিক লাল বিশ্বাসের পুত্র সুবেন্দু বিশ্বাস ওরফে সাধু বিশ্বাস নামধারী ভূমিদস্যু খ্যাত কখনো মৌজা, কখনো নিজ নাম ,কখনো পিতার নাম এবং কখনো প্রশাসন ও আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে একের পর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তঞ্চকী দলিল সৃষ্টি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে চলেছে । পাশাপাশি প্রকৃত ভূমিহীন কৃষকের বন্দোবস্তকৃত জমি জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য উক্ত ভূমিদস্যু নামে খ্যাত সুবেন্দু বিশ্বাস ওরফে সাধু বিশ্বাস রাঙ্গেমারী মৌজায় একটি দলিলে ১.৫০ একর জমি সরকারি ভাবে বন্দোবস্ত পেয়ে উক্ত জমি ৩ টি দলিলে মোট ১.৭০ একর অর্থাৎ বন্দোবস্তের চেয়ে ২০ শতাংশ জমি বেশি বিক্রি করে নিঃশর্তবান হন । পরবর্তীতে ওই একই দলিল দেখিয়ে প্রশাসন ও আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে রাঙ্গেমারী মৌজা পরিবর্তন করে তেঁতুলতলা মৌজায় ১.৩০ একর জমির রায় ডিগ্ৰী করে ভূয়া নামপত্তন কেসের মধ্যমে আবারও ১.৩০ একর জমি পুনরায় বিক্রি করে।
এনিয়ে সাধু বিশ্বাস ১.৫০ একর জমি সরকারি পেয়ে দুই মৌজা মিলিয়ে প্রতারণা করে মোট ৩.০০ একর জমি বিক্রি করে । এতে তেঁতুলতলা মৌজার প্রকৃত ভূমিহীন কৃষকেরা জমির দখল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অন্যদিকে তেঁতুলতলা মৌজায় বন্দোবস্তপ্রাপ্ত প্রকৃত ভূমিহীন কৃষক মোঃ আলমগীর হোসেন ভূয়া ও তঞ্চকী নাম-পত্তনের মাধ্যমে পাওয়া রেকর্ড কেটে দিতে বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসে ৫০ ধারা কেস করেছেন এবং ৫০ ধারা কেসের শুনানি চলমান রয়েছে।
এছাড়া উক্ত ভূমিদস্যু সুবেন্দু বিশ্বাস ওরফে সাধু গত ২০/৫/১৯৯২ তারিখে চক্রাখালী গ্ৰামের মৃত অতুল রায়ের পুত্র অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র রায়ের নিকট থেকে তেঁতুলতলা মৌজায় ২.০৭ একর জমি বিক্রির কথা বলে নগত ৮০ হাজার টাকা গ্ৰহণ করে আজ পর্যন্ত কার্তিক চন্দ্রকে কোন জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি বা টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এব্যাপারে ভূক্তোভগী সহ এলাকাবাসী সুবেন্দু বিশ্বাস ওরফে সাধুর অপ কর্মের তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।