শাহাবুদ্দিন মোড়ল,ঝিকরগাছা || যশোরের ঝিকরগাছায় প্রভাবশালীদের দখলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও ফুটপাত। পৌর সদেরর বাজার সংলগ্ন এই মহাসড়কের ওপর ও সড়কের দু’পাশ গড়ে উঠেছে অবৈধ কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট ও পাহাড় সমান উঁচু মালামাল নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ গাড়ি। রাস্তায় চলার কোনো অনুমতির নেই। প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের অসাবধানতায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিভাবক হারিয়ে পথে বসছে একেকটি পরিবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটির ফুটপাত দখলে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাতে। এ বিষয়ে আইনগত ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও নিরব ভূমিকায় স্থানীয় পৌর প্রশাসন ও নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর লোক দেখানো এক-দুইদিন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে পৌর সদরের এই বাজারের কথা কর্তৃপক্ষের মনে থাকে না। কিন্তু স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ না করায় কোন লাভ হচ্ছে না। তবে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশি কয়েকবার উচ্ছেদ করার কথা বলা হলেও পরিশেষে সেটা সফল করা হয়। ক্রমাগতই সাধারণ মানুষের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে থানা পুলিশের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃর্তিপুর থেকে শুরু করে হাজেরালী বালিখোলা পর্যন্ত যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে উপর ওয়ান্ডিংওয়ার্কশপ, গাড়ী ধৌত করার স্থান, ফার্ণিচারের মালামাল, স’মিলের বড় বড় কাঠ, ঢেউ টিনের দোকানের টিন, হোটেল-রেস্তরা-ফাস্ট ফুড, বিভিন্ন ফলের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, চা-পানের দোকান, জুতা-কাপড়ের দোকান সহ প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করেছে। এছাড়াও আরও বড় সমস্যা হল যশোর-বেনাপোলের ভাড়া চালিত বাস মহাসড়কের মাঝে রেখে যানজট সৃষ্টি ও মহাসড়কের উপর অবৈধ যানবহন বা থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড। আর দু’পাশে দোকানপাট ও থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ও মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে টোল আদায় করছে। ব্যস্থতম এই সড়কে ক্রেতা-বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে ক্রয়-বিক্রি করছে বিভিন্ন পণ্য। গাড়ী আসলে অনেক সময় অসাবধনতাবসত তাড়াহুড়ো করে কেউ কেউ সরতেও পারেন না। যার ফলে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এত বিপদজনক হওয়া সত্যেও এসব দোকানের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে প্রশাসনের স্থায়ী নজরদারির অভাব রয়েছে।
নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি তো নতুন এসেছি। আমার একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। আমি উপজেলা প্রশাসন ও আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।
সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সক্লুসিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার প্রশাসক নাভিদ সারওয়ার বলেন, আমি নুতন এসেছি। আমি আগে সেটাফ হয়েনি। তারপর এগুলোর বিষয়ের উপর বক্তব্য দেবো।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।