মোঃ রাজু হাওলাদার, খুলনা ||সিদ্দীকা আক্তার মুক্তা নামে এক নারী সম্প্রতি তাঁর মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দিয়েছে যা অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও হয়রানিমূলক অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাব আজ ২৮/১০/২৪ তারিখে ১২টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
প্রকৃত ঘটনা হলো,২০০৮ সালে আরিফ সরদারের সঙ্গে সিদ্দীকা আক্তার মুক্তার বিয়ে হয়। তাদের ঔরসে জেবা নামের কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। আরিফ সরদার বিদেশে যাওয়ার ৬ মাস পর মুক্তা জয়নাল নামক এক পুলিশের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ২০১৬ সালে আমার ছেলেকে তালাক দিয়ে জয়নাল পুলিশকে বিয়ে করে। সেই সংসারে মুক্তার একটি পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান আছে। আরিফ দেশের বাইরে অবস্থান করায় জেবা তার ফুফুর কাছে থেকে নিরালা আদর্শ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
প্রতি দিনের ন্যায় গত ২০ অক্টোবর/২০২৪ জেবা নিরালা আদর্শ বিদ্যালয় থেকে ছুটি শেষে বাসায় ফেরার পথে তার মা মুক্তা ও খালা সীমাসহ আরো দুজন তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানতে পেরে জেবার দাদি সালেহা বেগম তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আমার অভিযোগের পর পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমাধানের জন্য জেবাসহ মুক্তাকে নিরালা পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকেন। সেখানে জেবা তার দাদি সালেহা বেগমের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। তখন জেবার মা মুক্তা জেবা ও সালেহা বেগমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। জেবা কোনভাবেই তার মায়ের সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি। তখন পুলিশ জেবাকে সোনাডাঙ্গা সেভহোমে প্রেরণ করে। অত:পর সিদ্দীকা আক্তার মুক্তা অসত্য তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে শিশু জেবা বলেন, আমি আমার মায়ের কাছে যেতে চাই না আমার মা তাহার দ্বিতীয় স্বামী আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন ও আমার পড়াশুনার ক্ষতি করছেন। তাই আমি আমার দাদির ও ফুফুর কাছে খুব ভালো আছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।