ইমরুল ইসলাম ইমন,দিঘলিয়া প্রতিনিধি || দিঘলিয়া উপজেলার জামান জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় মিল গেটে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে।
বকেয়া পাওনার দাবিতে গত বুধবার জেলা প্রশাসকসহ শ্রম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শ্রমিক কর্মচারীরা।
শ্রমিক কর্মচারী সুত্রে জানা যায়,জামান জুট মিলস্ কর্তৃপক্ষ গত ১২ মাস ধরে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখেছেন। কর্মচারীদের প্রায় ৩৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা বকেয়া পাওনা হয়েছে। অপরদিকে শ্রমিকদের প্রায় ৮ লক্ষ টাকা সহ মোট ৪৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বেতন পাওনা রয়েছে। শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা পরিষদের দাবি জানালে মিল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করছেন।
শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ না করে মিলের যন্ত্রাংশ মেশিন ও বিভিন্ন পার্টস গোপনে বিক্রি করছে মিল কর্তৃপক্ষ। এ সংবাদে শ্রমিক কর্মচারীরা গত বুধবার (১৩ই নভেম্বর) জেলা প্রশাসকসহ শ্রম সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন । আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় শ্রমিক কর্মচারীরা একে একে মিলগেটে জড়ো হতে থাকে। এক সময় বিক্ষিপ্ত শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধের আন্দোলন শুরু করলে পরে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি হয়।
মিলের কর্মচারী পাট বিভাগের প্রধান ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি মিল কর্তৃপক্ষ আমাদের ও শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা টাকার বিষয় কোন প্রকার সহযোগিতা না করে উল্টো মিলের মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ গোপনে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং বকেয়া পাওনা টাকার দাবিতে মিলগেটে জড়ো হয়েছি।
মিলের এডমিনিস্ট্রেশন ডাইরেক্টর রিপন মোল্লা বলেন, গত ৪ নভেম্বর রাতে মিলের মিটার রুমের দরজা ভেঙে অনেক মূল্যবান মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় মিলের মিটাররুমের সিকিউরিটি গার্ড রবিউল ইসলাম ও নাহিদকে আসামী করে মামলা দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। মিলের কোন যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়নি । মিলটি পুনরায় পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া পাওনার বিষয় আগামী শুক্রবার শ্রমিক কর্মচারীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বসে হিসাব করে পাওনা থাকলে পরিশোধ করে দেওয়া হবে বলে জানান।
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহীন জানান, বকেয়া টাকার দাবিতে শ্রমিকদের মিল গেটের জড়ো হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি । মিলের এডমিনিস্ট্রেশন ডাইরেক্টর এর উপস্থিতিতে আগামী শুক্রবার শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতিনিধি দলের সাথে বসে বকেয়া পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।