আমজাদ হোসেন নওগাঁ || নওগাঁ মান্দা উপজেলার ৭ নং প্রসাদপুর ইউপির মট গাড়ি মঞ্জিলতলা বাজার এলাকায়, কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ওই সমিতির সভাপতি, আহমদ আলীর ছেলে মোঃ সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে, তবে ওই সমিতির ২০০৬ সালে দুই টাকা থেকে সঞ্চয় শুরু করে কেয়ার বাংলাদেশের এর সহযোগিতায়,এই সময়তির সদস্যদের সঞ্চয় এবং সীমিত সুদের ঋণে সকল সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই সমিতির সকল কার্যক্রম সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সম্পাদক বাবুল হোসেন এবং উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে, সঠিকভাবে পরিচালনা হলেও, ২০২২ সালে কিছু উশৃংখল সদস্যরা সমতির গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে, ওই সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন কাছ থেকে ২০২২ সালে সমবায় অফিসার ও ওই সমতির সাধারণ সদস্য দের উপস্থিতিতে,সকল হিসেব নিকাশ বুঝে নেন, ওই সমিতির বর্তমান সভাপতি সাদেকুল ইসলাম,তবে সমিতির সদস্যে অভিভাবক মোঃ আমজাদ হোসেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সদস্যেদের সাথে মতামত প্রকাশ ও প্রতিমাসে মিটিং করার কথা থাকলেও সেটি না করে নিজের ইচ্ছাই ওই সমতির ঋণগ্রহীতাদের চেক এবং স্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে টাকা নিজে তুলে নিজেই আত্মসাৎ করছেন, অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,সমাজসেবা অফিসের দেওয়া নির্ধারিত দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন, অ্যাডোক কমিটি গঠন করার চিটি ইস্যু করলেও তিনি সেটি না করে রাতের অন্ধকারে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে,ওই সমিতির সঞ্চয়ী সদস্যদের টাকা ফেরত না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন ওই সময়টির ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা।
তবে সময়ের সদস্য সংখ্যা ৩৫২ জন হলেও তিন কোটি টাকার ওপরে তবে এই সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন এর কাছে সমিতির বেহালদশার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা ২০২২ সাল পর্যন্ত সমিতি সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে পরিচালনা করেছি এবং সঠিক হিসাব নিকাশ আসবাবপত্র, দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন অ্যাডোক কমিটির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম এর কাছে বুঝে দিয়ে এসেছি, কিন্তু অ্যাডহোক কমিটি থাকা অবস্থায় সাদিকুল ইসলাম নিজেই পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি হয়ে ওই সমিতি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন, তবে আমরাও ওই সমিতির সদস্য আছি আমাদের টাকাও ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছেন তিনি।
তবে এই সমিতির অভিযোগ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আলম মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, গণ শুনানির দিন অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আমার অফিস দপ্তরে জমা দিতে বলেছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।