মোঃ রাজু হাওলাদার, খুলনা || উপসচিব নুরুল করিম ও মিনারা নাজনিনের সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজেসে অবিচার প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বেলা ১২ টায় (রবিবার) ২৪ নভেম্বর ২৪ তারিখে হুমায়ুন কবীর মিলনায়তন খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সূত্রে জানা যায়,লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব:) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, মিনারা নাজমিন আমার বোন এবং বোনের সামি নুরুল করিম নিজেদেরকে পুষ্পবিলাস হোটেল মালিক দাবী করে। তারা আমাকে বলেন হোটেল পরিচালনা করতে হলে ১ কোটি টাকা প্রদান করতে হবে। তারা মালিকানা চাইলেও ব্যাংক ঋনের কোন দায় নিতে অস্বীকৃতি জানাই। কবে থেকে হোটেল গ্রহন করতে চাই মর্মে লিখিত চাইলে দিতে আপত্তি জানাই। অনেক বার পারিবারিক ভাবে বসাবসি হলেও তাদের একরোখা মনোভাব, সরকারী ক্ষমতার দাপটের কারনে কোন পারিবারিক মুরব্বিদের নিয়ে বসতেও অস্বীকৃতি জানাই। অন্য কোন উপায় না থাকায় ২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে আমি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করি। গত ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম ভূইয়া আমার মাকে বিভ্রান্ত করে সঙ্গে নিয়ে পুষ্পবিলাস ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের জন্য সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করেন। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে সিআরও কেসিসি এর অফিসে শুনানির দিন মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম ভূইয়া হোটেল সিলগালা করার জন্য সিআরও কে নির্দেশনা দেন। হোটেলের মালিকানা তাদেরকে ছেড়ে না দিলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
৪ঠা মার্চ ২০২০ তারিখের ক্রয়কৃত স্ট্যাম্প এ সমঝোতায় অংশগ্রহণকারী বাবা-ছেলে বা পিতা-পুত্রের সম্পর্কে ১ম ও ২য় পক্ষ হিসেবে যে সমঝোতা চুক্তিটি করা হয়েছে সেখানে ১লা জানুয়ারি ২০২০ স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং উভয়ের পক্ষের সম্মতিতে মার্চ মাসে এসে জানুয়ারি তারিখটি ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ সর্বময় অভিভাবক হিসেবে পিতা ভার স্বাক্ষরের সাথে ১ লা জানুয়ারি ২০২০ সাল ব্যবহার করায় ছেলে হিসেবে আমিও ঠিক একই তারিখ ব্যবহার করেছি। কারণ এই সমঝোতার চুক্তির অনেক পূর্বেই বাবার মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে সকল শর্ত পালন করতে সম্মত ছিলাম। ভবন মালিক ইস্টার্ন ব্যাংকে লোন গ্রহনের পূর্বে নিজে উপস্থিত হয়ে ঋনের কিস্তির পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে এবং বিদ্যুৎ অফিসে নিজে উপস্থিত হয়ে সমঝোতা চুক্তিটি সাবমিট করেন। উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ঋনের কিস্তি পরিশোধিত না হওয়ায় ইস্টার্ন ব্যাংকে সমঝোতা চুক্তিটি প্রদান করা বাধ্যতামূলক ছিল। আমি নিজেও ট্রেড লাইসেন্স এর কাজে এই সমঝোতা চুক্তিটি ব্যবহার করে আসছি কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান সমঝোতা চুক্তিটি নিয়ে দ্বীমত পোষন বা আপত্তি করেনি। আমার আইনজীবি কর্তৃক প্রেরিত চিঠিটি ব্যাংকের চিঠিতে উল্লেখ করেন সমঝোতা চুক্তিটি ভবন মালিক কর্তৃক ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত এবং বিচার কার্যে আমি সর্বোচ্চ অবিচার ও অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছি। উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বে নিয়োজিত এবং দেশের সকল মানুষের কাছে এই দূর্নীতি গ্রন্থ পক্ষপাত দুষ্ট ব্যক্তি বর্গের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।