মোঃ রাজু হাওলাদার, খুলনা || আজ (২৭ নভেম্বর)বেলা সাড়ে ৪টায় খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের আয়োজনে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতীয় সংহতি সপ্তাহের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর সেক্রেটারি মোঃ নুরুল্লাহ, সংগঠনের সাবেক সেক্রেটারি আমিরুল ইসলামসহ সংগঠনের খুলনা জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন অদ্বিতীয় ঘটনা। বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচারের শাসন হতে মুক্ত করতে এই বিপ্লব সময়ের দাবি ছিল। কিন্তু প্রতিটা বিপ্লবের পিছনে অনেক ত্যাগ আর সংগ্রাম থাকে। জুলাই বিপ্লবও তার ব্যতিক্রম নয়। জুলাই বিপ্লবকালে আমরা হারিয়েছে আমাদের অনেক মুক্তিকামী ভাইকে। যারা এই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে থাকার জন্য তার অনুগত পেটোয়া বাহিনী দিয়ে পাখির মতো গণহত্যা চালিয়েছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। কিন্তু এদেশের মুক্তিকামী ছাত্র এবং জনতা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন এবং খুনি হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করার মধ্যে দিয়ে এই আন্দোলন শেষ করেছে। খুনী হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার দোসররা আজও বাংলাদেশে সক্রিয়। তারা বিভিন্ন নামে এবং বিভিন্ন ব্যানারে স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত। শুধু ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়াই নয় জুলাই এর প্রতিটা হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত না করে ইসলামি ছাত্রশিবির ঘরে ফিরবে না। এই নিয়ে যদি কোন ষড়যন্ত্র হয় তাহলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিচার বিভাগ ঘেরাও করবে। প্রয়োজনে এই বিচারের জন্য আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবে। তবু জুলাই মাসে ঝরে যাওয়া প্রতিটা প্রাণের হিসাব দিতে হবে। খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা বর্তমানে ইসকন রূপে ফিরে এসেছে। তারা ইসকনের মাধ্যমে এদেশে নতুন করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তারই ফলস্বরূপ গতকাল চট্টগ্রামের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবাই করে হত্যা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির খুনী হাসিনা এবং ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে সবকিছু প্রতিহত করবো। ইসকনকে এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদেশের মাটিতে ইসকনের কোন পতাকা উড়বে না। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মীকে এসকল ষড়যন্ত্রের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমাবেশটি প্রথমে ডাক বাংলার মোড়ে জড় হয়ে পরে মিছিল সহকারে শিববাড়ি মোড়ে এসে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।