1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তে আদালতের নির্দেশ ভারতে যাওয়ার সময় দুই বাংলাদেশী আটক এইচএমপি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ৭ নির্দেশনা, সতর্কতা জারি- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিঘলিয়ায় ওয়ার্ড বিএনপি’র শৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি সভা সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়লো আরও ৬০ দিন কয়রায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক কেএমপি’র আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সুধী সমাবেশ খুলনায় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন মোংলায় ট্রেনের নিচে পড়ে এক শিশু নিহত বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত খুলনায় গাঁজাসহ ১ জন আটক জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে সাবেক এমপি-নজরুল ইসলাম মঞ্জু কেশবপুরে মধুমেলা উপলক্ষে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক ব্যাক্তিকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর পুলিশি মধ্যস্ততায় মুক্তি কালিগঞ্জে বিপ্লব রায় ও স্বপন রায়ের প্রতারণার প্রতিবাদে মানববন্ধন শার্শায় শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ পাইকগাছায় নার্সারি মালিক সমিতির জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  দিঘলিয়ায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দুটোই এখন মরণ ফাঁদ, ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৩ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনা প্রতিনিধি || বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর রূপসা ঘাটে কেসিসির টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে বিগত সরকারের আমলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব লোকবল দিয়ে রূপসা ঘাটের টোল আদায় করতো। আর এ টোল আদায়ের নামে যাত্রীদের সাথে করা হতো জুলুম ও রাহাজানি। তবে ক্ষমতার পালাবদলে এখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এ ঘাটের মালিক। তাদের কাছ থেকে রূপসা ঘাট ইজারা নেওয়ার পর নয়া ইজারাদারের জুলুম ও রাহাজানি থেমে নেই। তারাও করছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। এমনকি অর্থ আদায়ের কৌশল হিসেবে তারা মাইকে ঘোষণা করছে “টোলের টাকা না দিলে কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন”। এ নিয়ে সাধারণ মানুয়ের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

এদিকে এর আগে কেসিসি কর্তৃপক্ষ রূপসা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে জনসাধারণ চলাচলের পন্টুন দু’টি নিয়মিত সংস্কার করলেও বর্তমানে কর্তৃপক্ষে উদাসীনতা আর খামখেয়ালিপনায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার থেকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। এসব কারনে চলাচলকারীদের মন্তব্য এবার চোর তাড়িয়ে ডাকাত আনা হয়েছে।

খুলনা জেলার রূপসা ঘাট একটি গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিদিন ট্রলার পারাপার হয় অন্তত আশি হাজারের অধিক যাত্রী। একজন যাত্রীর ট্রলারে পারানি গুণতে হয় চার টাকা। এর পর রূপসা ঘাটে এসে টোল দিতে হয় এক টাকা। অর্থাৎ,একজন ব্যক্তির প্রতিদিন রূপসা ঘাট পারাপার হতে গুণতে হচ্ছে দশ টাকা।

সরেজমিন দেখা গেছে,প্রায় একমাস ধরে রূপসা ঘাটের দুই পাড়ে পন্টুন দু’টি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী পন্টুন হয়ে ট্রলারে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। ক্ষমতার পালাবদলের আগে গ্যাংওয়ে কিম্বা পন্টুন জনসাধারণ চলাচলে অনুপযোগী হওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতো। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রূপসা ঘাটে টোল আদায় ইজারা নিয়েছে মোঃ শেখ আলী আকবর। দুই পাড়ে পন্টুন দু’টি সংস্কারে তার নেই কোনো মাথা ব্যথা, এমন মন্তব্য পারাপারকারীদের। মাসখানেক আগে পন্টুন দু’টি টোল আদায় কর্তৃপক্ষ তালিপট্টি দিয়ে দায়সারাভাবে মেরামত করেন। বর্তমানে পন্টুন দু’টির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হওয়ায় জনসাধারণ চলাচল খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর সকল বয়সী নারী-পুরুষের পন্টুন দু’টি দিয়ে চলাচল করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোল আদায় কর্তৃপক্ষ পন্টুন দু’টি মেরামতে নিজেরা কোনো উদ্যোগ না নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাঝি সংঘের নেতৃবৃন্দদের উপর দ্বায় চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাঝি সংঘের সভাপতি আব্দুল হালিম শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, রূপসা ঘাটের পন্টুন দু’টি সংস্করের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পন্টুনের অনেক স্থানে বড়-বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। পন্টুনের প্লেনশীট উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। যেকোনো যাত্রীদের পা ফাঁকা জায়গায় ঢুকে যেতে পারে। পন্টুন সংস্কর করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এর আগে পন্টুনের কোনো সমস্যা হলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ভাবে মেরামতের ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু এখন যারা টোল আদায়ের দায়িত্বে আছেন তাদের পন্টুন সংস্কারের ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যথা নেই।

পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌাকা মাঝি সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোকন শেখ বলেন, রূপসা ঘাটের পন্টুন দু’টির বিভিন্ন স্থানে অনেক বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। যাত্রীরা যাতে দুর্ঘটনা কবলিত না হয় সেজন্য বেশকিছু স্থানে সামান্য বালুর বস্তা ও কাঠের তক্তা দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। টোল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে একাধিকবার বলেও কোনো কাজে আসছে না। তিনি বলেন, পন্টুন দু’টি তাড়াতাড়ি সংস্করের প্রয়োজন। আরো একাধিক মাঝির সাথে কথা বললে তারা একই অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। মাঝিরা বলছেন পন্টুন দু’টি শিগগির সংস্কার করা না হলে বৃষ্টিপাত যদি বেশি হয় তাহলে পন্টুনে পানি ঢ়ুকবে। পন্টুনের ভেতর যদি পানিতে ভরে যায় তাহলে যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে।

রূপসা ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রী বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মাসুম বলেন,রূপসা ঘাটে পন্টুনের অবস্থা খুব খারাপ। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রামপাল উপজেলার পেড়িখালি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, রূপসা ঘাটে পন্টুন দু’টি সংস্কার করা প্রয়োজন। ফকিরহাট উপজেলার মানসা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, সংস্কারের অভাবে রূপসা ঘাটে দুই পাড়ের পন্টুন দু’টি যেন মরণকূপে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।