নড়াইল প্রতিনিধি|| নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের দিনমজুর আফসার উদ্দীন সরদারের মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মিমি আক্তারের পাশে দাড়িয়েছেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে নড়াইল জেলা সমিতি ঢাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে মিমি আক্তারের বাড়িতে গিয়ে মিমির হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক এস কে কায়ছার মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য অহিদুজ্জামান পিপিএম, আজীবন সদস্য জহুরুল ইসলাম, আজীবন সদস্য রিপন মন্ডলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দপ্তর সম্পাদক এসকে কায়ছার মাহমুদ বলেন,
ভবিষ্যতে এরকম অসহায় দরিদ্র মেধাবী স্টুডেন্টদের পাশে ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতি থাকবে।
যদিও এর আগেও আমরা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক মানবিক কাজে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসতেছি।
এ সময় মিমি আক্তার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন, আমি কখনই তাদের অবদানের কথা ভুলবো না। আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবো, এই সহযোগিতা আমাকে সেই স্বপ্ন পূরণের পথ এগিয়ে দিলো’।
উল্লখ্য, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের দিনমজুর মো: আফসার উদ্দিন সরদার ও শিউলি বেগম দম্পতির মেয়ে মিমি আক্তার। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মিমি বড়। মিমি স্হানীয় নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি ও দিঘলিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। আর এবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মিমি উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে তার মেডিকেলে ভর্তিতে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয় এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষজন মেধাবী শিক্ষার্থী মিমি আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।