মোয়াজ্জেম হোসেন সাদী, সাতক্ষীরা || বাস কিংবা পরিবহণ থেকে নামলেই দেখা যায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের দৃশ্য। তাই বলা হয়, ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন’।
বাংলাদেশের ছয় জেলা জুড়েই সুন্দরবন বিস্তৃত। তবে একমাত্র সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে সরাসরি দেখা যায় এ বনের সবুজ আবহ। কিন্তু সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নানা কারণে পর্যটক কমলেও বর্তমানে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া ইকো পার্কে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । এতে পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় আসার সঞ্চয় দেখা দিয়েছে ।
তেমনটি দেখা গেলো শুক্রবার সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া ইকো পার্কে যেয়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের এখানে বুড়িগোয়ালিনী নীলডুমুর থেকে ট্রলার যোগে৷ কলাগাছিয়া ইকো পার্কে যেয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালি, বানর, হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।
অনেক পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটক আরো বাড়তো, যদি এ বিষয় গুলো দ্রুত সমাধান হতো, সেটি হলো, সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা, সুন্দরবনের প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধি ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে সুন্দরবনে রাত্রিকালীন অবস্থানের পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতো।
সংবাদ কর্মী রাজু আহমেদ বলেন, , আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ সুন্দরবনের ওপর অনেক নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের মানুষ পর্যটন খাতেই বেশি আয় করে থাকেন। রাস্তাঘাট সংস্কারের অভাব ও টুরিস্ট বোর্ডের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের এই অঞ্চলে পর্যটক কমে গেছে। তবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হলে আগে আমাদের প্রধান সড়কগুলো যেমন সাতক্ষীরা থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। সুন্দরবনে ২-৩ দিন বা রাত্রিকালীন অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে রেঞ্জ অফিসের সে ক্ষমতা না থাকায় পর্যটকদের এ অঞ্চলে আসার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। মূলত রাত্রিকালীন পাশ আনতে খুলনায় যেতে হয়, এটা পর্যটকদের কাছে একটা বিড়ম্বনা। রাত্রিকালীন পাশ পারমিট চালু হলে এই অঞ্চলে পর্যটক আরো বাড়বে বাড়বে।
উন্নয়নকর্মী স.ম ওসমান গণী সোহাগ বলেন, আমি উপকূলীয় অঞ্চলের একজন সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অঞ্চলে টুরিস্টরা প্রবেশ করে সেটা দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত। ২০১৬ সালে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার পর টুরিস্টদের ব্যাপক একটি চাপ ছিল। বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে কিন্তু এ সংখ্যা ব্যাপক ভাবে না বাড়ার কারন হিসেবে আমরা যে কারণগুলো উল্লেখ করব তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধানতম কারণ হচ্ছে সাতক্ষীরা থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে টুরিস্টরা মোংলা বা পূর্ব সুন্দরবনে সহজেই প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু সেই তুলনায় মুন্সিগঞ্জে এসে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লাগে আর সেই সঙ্গে আছে সড়কের বেহাল দশা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।