1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত তেরখাদায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যশোরের কেশবপুরে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে – ডা. আব্দুল্লাহ মু. তাহের নওগাঁয় উত্তরা ডিগ্রি কলেজে ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কর্মী সমাবেশে সংবাদ সম্মেলন কয়রায় নৌকায় ৬২ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালাল চোরা শিকারিরা কেশবপুরের পাঁজিয়ায় ৪ দিনব্যাপী বইমেলার শুভ উদ্বোধন গাজীরহাট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  সুন্দর বাংলা হাতের লেখা’ প্রতিযোগিতা, কেএমপিতে শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা খুলনায় আয়রন প্যারাডাইস জিম বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ -২০২৫ রক্তাক্ত কুয়েট’ প্রদর্শনীতে ফুটে উঠেছে হামলার চিত্র চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে – পুলিশ কমিশনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পুলিশ কমিশনার এর শ্রদ্ধা নিবেদন তেরখাদায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কয়রায় বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি, চলাচলে দুর্ভোগ লাখো মুসল্লীর কান্না ও আমীন ধ্বনিতে চরমোনাই’র তিন দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হলো শার্শায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায়  উদযাপন নড়াইলে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হলো শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

 আজ সুন্দরবন দিবস, ২৩ বছরেও সাড়া মেলেনি, জাতীয় ভাবে দিবস পালনে

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৮ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন, খুলনা প্রতিনিধি || বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি সুন্দরবন। অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল সুন্দরবন।

(আজ শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’)
২০০২ সাল থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় জেলায় ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন করা হচ্ছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে সুন্দরবন দিবস পালন হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন ৫টি জেলার ১৭টি উপজেলায় যুব ফোরাম এ বছর সুন্দরবন দিবস পালন করছে।তবে ২৩ বছরেও জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের সাড়া মেলেনি। সুন্দরবন দিবস পালনের আয়োজকরা সম্মেলন থেকেই সরকারের কাছে জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

আয়োজকরা বলেছেন, জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালন করা হলে সুন্দরবনের গৌরব বৃদ্ধি পাবে এবং তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। আর গৌরব বৃদ্ধি পেলে সুন্দরবন সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

জানা গেছে, বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় গড়ে উঠেছে। নিজেই সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন। ১৮৭৮ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবনের মোট আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলেমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগের পরিমাণ চার হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জলভাগের পরিমাণ এক হাজার ৮৭৩ বর্গ কিলোমিটার।

বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আয়াতনের অর্ধেকের বেশি এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল।

সুন্দরবন জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বিশ্বের মধ্যে সমৃদ্ধশালী একটি ইকোসিস্টোম। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্য ভরপুর। ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের’ আবাসস্থলও সুন্দরবনে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দেয়াল হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে সুন্দরবন। কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে চলেছে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

সূত্রমতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে জীববৈচিত্র্য। বিভিন্ন সময়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা এই বন নিজে নিজেই আবার ক্ষতি পুষিয়ে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসছে।

সুন্দরবনের ইতিহাস ও নামকরণ :
জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যকে বিশ্বঐতিহ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ প্রজাতি ‘সুন্দরী গাছ’। কারো কারো মতে সুন্দরী গাছের নাম অনুসারে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন। আবার সমুদ্রের কাছে অবস্থান হওয়ায় ‘সমুন্দর’ শব্দ হয়ে প্রথমে ‘সমুন্দরবন’ ও পরে ‘সুন্দরবন’ নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সুন্দরবনের প্রথম জরিপ কাজ ১৭৬৯-১৭৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

বন বিভাগের তথ্যমতে, দেশের মধ্যে বণ্যপ্রাণির বৃহত্তম আবাসস্থল সুন্দরবন। সুন্দরবনে ৫২৮ প্রজাতি উদ্ভিদ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ১২৫টি, পাখি ৩৫৫ প্রজাতি, উভচর ১৪ প্রজাতি, বন্যশুকুর ৪৭ হাজার ৫১৫টি, গুইশাপ ২৫ হাজার ১২৫টি, লোনাপানির কুমির ১৪০টি, ইরাবতী ডলফিন ৪৫১টি, বন্যপ্রণী ৫০৫ প্রজাতি, সরীসৃপ ৮৭ প্রজাতি, স্তন্যপায়ী ৪৯ প্রজাতি, হরিণ এক লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি, সজারু ১২ হাজার ২৪১টি, গাঙ্গেয় ডলফিন ২২৫টি এবং সাদামাছ ২১০ প্রজাতি।
সুন্দরবনের প্রধান বনজদ্রব্য হচ্ছে—সুন্দরীগাছ,পশুরগাছ, গেওয়াগাছ, ধুন্দুলগাছ ও কাকড়া গাছ। এছাড়া গোলপাতা, হেতাল, ছন, মধু ইত্যাদি সুন্দরবনে রয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন ‘সুন্দরবন ঘোষণার’ মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। রূপান্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাপা যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের সাড়া মেলেনি। ২০০২ সাল থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন জেলাগুলোতে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে।

খুলনার বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ২০০১ সালে সুন্দরবন ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি জানানো হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় তারা সরকারের কাছে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকার সুন্দরবন সংরক্ষণের কথা বলে, কিন্তু কার্যকারি উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিগত সরকারগুলির কেউ জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়নি। বিগত সরকারগুলো সুন্দরবনের প্রতি তাদের মমত্ববোধ কথায় প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বর্তমান সরকারের কাছে জাতীয় ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।

পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন আরো জানান, জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনের গৌরব বৃদ্ধি পাবে এবং এই গৌরব দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। আর গৌরব সৃষ্টি হলে সুন্দরবন সংরক্ষণে সুবিধা হবে বলে মনে করেন পরিচালক।

পরিচালকের দেওয়া তথ্যমতে, সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর এবং বরগুনা জেলার ১৭টি উপজেলায় যুব ফোরাম রূপান্তরের সহযোগীতায় সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে। এবার সুন্দরবন দিবসে যুবকদের দাবি প্লাস্টিক, পলিথিন এবং কারেন্টজাল মুক্ত সুন্দরবন চাই।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের দাবি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে সুন্দরবন দিবস পালনে অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্যই জাতীয় ভাবে সুন্দরবন দিবস পালন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বন সংরক্ষক জানান, বন অধিপ্তর এবং সুন্দরবন একাডেমির যৌথ উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাবে বিভাগীয় পর্যায়ে সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবনের রেঞ্জে রেঞ্জে দিবস পালন হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সুন্দরবন নিয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন সময় কথা হলে তারা জানায়, দেশ-বিদেশে মানুষের কাছে সুন্দরবন গুরুত্ববহন করে। জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালন করা হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরা সহজ হবে এবং সুন্দরবন নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। তারাও মনে করেন জাতীয় ভাবে দিবস পালন করা উচিত। 

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।